ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। যেখানে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল বাবর আজমের দল।
বুধবার পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ২৬ রানের জয় পেয়েছেন স্বাগতিকরা। এদিকে এই জয়ের মধ্য দিয়ে একটা লজ্জাজনক ইতিহাসের পরিসমাপ্তি ঘটাল পাকিস্তান। এক যুগ পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতলেন তারা। ২০১১ সালের পর যা এবার প্রথম।
বুধবার করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টসে জিতে দ্য গ্রিন ম্যানদের প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান কিউইরা। আগে ব্যাট করতে নেমে এদিন খুব একটা ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি সিরিজের আগের দুই ম্যাচে টানা সেঞ্চুরি করা ফখর জামান। ২৬ বলে মাত্র ১৯ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরেন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে বাবর ও ইমাম-উল হকের শতাধিক রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে পাকিস্তান। ১০৮ রানের জুটি ভাঙেন ম্যাট হেনরি। বাবর ৬২ বল খেলে ৫৪ রানে ফেরেন। ততক্ষণে অর্ধশতক তুলে নেওয়া ইমাম-উল হক এর পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আব্দুল্লাহ শফিকের সঙ্গে। শফিক ১৯ রানে বিদায় নিলে ভাঙে ৩৭ রানের জুটি।
এর পর ইমাম-উল হকও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। নার্ভাস নাইন্টির শিকার হয়ে দলীয় ১৯২ রানে ৯০ করে আউট হন তিনি। শেষ দিকে রিজওয়ানের ৩২ ও আঘা সালমানের ৩১ রানের ক্যামিও ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে হারিয়ে ২৮৭ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
২৮৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেন কিউইদের দুই ওপেনার উইল ইয়াং ও টম ব্লান্ডেল। উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৮৩ রান। এর পর ৪১ বলে ৩৩ রানে ইয়াং সাজঘরে ফিরলেও ফিফটি তুলে নেন ব্লান্ডেল। তবে ৭৮ বলে ৬৫ রানে তিনিও বিদায় নেন।
অন্যদিকে গত দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেও এদিন খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা ড্যারিল মিচেল। ২৪ বলে ২১ রানেই আউট হয়ে যান তিনি। এর পর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক টমর লাথাম। কিন্তু ৬০ বলে ৪৫ রানেই থামেন তিনি। শেষ দিকে ম্যাকঞ্জির আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখলেও ৪৯.১ ওভার শেষে ২৬১ রানেই অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ৪৫ বলে ৬৩ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার। পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে দুটি করে সর্বোচ্চ উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ ওয়াসিম ও নাসিম শাহ।