শ্রীপুরে চেয়ারম্যান কর্তৃক মারধর
Advertisements

জমি সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগের পর সেচ্ছায় জমি লিখে না দেওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে নিজের হাতে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকনের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ভুক্তভোগীদের বৃদ্ধ পিতার থেকে সাদা কাগজে জোরপূর্বক টিপসই-ও নিয়েছেন তিনি। এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের জন্য ভুক্তভোগীরা ইউনিয়ন পরিষদের সিসিটিভি ফুটেজকে চ্যালেঞ্জ করেন।

শনিবার (২ এপ্রিল ২০২২) সকালে ভুক্তভোগী আবুল হোসেন বলেন, ‘আমরা মোট ছয় ভাই ও দুইবোন। আমাদের পিতাকে সেবাযত্ন ও ভরণপোষণের জন্য তিনি খুশি হয়ে আমাদের তিন ভাইকে ১৯.২৫ শতাংশ জমি লিখে দেন।

জমি লিখে দেওয়ার কয়েকদিন আগেও আমাদের তিন ভাইকে ব্যাপক মারধর করে বড়ভাই তাইজুদ্দিন। এরপর তাইজুদ্দিন ভাই মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর গত ‘১০ মার্চ সকাল ১০ টায়’ চেয়ারম্যান আমাদেরকে তার কার্যালয়ে ডাকেন। আমরা যথা সময়ে উপস্থিত হই। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে আমাদের তিন ভাইকে বলেন, বড় ভাইয়ের নামে সব জমি সেচ্ছায় লিখে দিতে। রাজি না হওয়ায় পুলিশের মাধ্যমে হাতকড়া লাগিয়ে আমাকে ও আমার ভাই ফাইজুদ্দিনকে বেধরক পিটুনি দেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকন। এরপর বাবার থেকে সাদা কাগজে জোরপূর্বক টিপসই নেয় চেয়ারম্যান। আমাদেরকে যখন মারধর করা হয়েছে তখন ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে অনেক মানুষ ছিলেন। কিন্তু কেউ ভয়ে বিষয়টি বলবে না। আমাদের কাছে তেমন প্রমাণ নেই মারধরের। তবে আমার শরীরে মারধরের কিছু দাগ এখনও আছে। সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো পরিষদের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজ’।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনজনকে অভিযুক্ত করে (৩১ মার্চ) বিকেলে ভুক্তভোগী আবুল হোসেন বাদী হয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ওই অভিযোগে অভিযুক্তরা হলেন, আমাদের বড় ভাই তাইজ উদ্দিন (৫২), মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকন ও বরমী ইউনিয়নের ছিটাপাড়া গ্রামের তমিজ উদ্দিনের সন্তান আতিকুল (৩৫)।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে একাধিকবার ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Advertisements