রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় তাহলে তাতে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহৃত হতে পারে। ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযান সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে রাশিয়ার তাস বার্তা সংস্থার কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন। ল্যাভরভ বলেন, “ইউক্রেন যদি পরমাণু অস্ত্র হাতে পায় তখন রাশিয়া সত্যিকারের ঝুঁকির মুখে পড়বে।”
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরমাণু অস্ত্রধারী ইউক্রেনকে কখনোই রাশিয়া মেনে নেবে না। ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে ইউক্রেনকে পরমাণু অস্ত্র থেকে দূরে রাখা।
এর আগেও মস্কো দাবি জানিয়েছিল, রাশিয়া সীমান্তের কাছে ন্যাটো জোট সেনা মোতায়েন থেকে বিরত থাকবে এবং ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করতে পারবে না।
মঙ্গলবার জেনেভায় অনুষ্ঠিত নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে ল্যাভরভ সুস্পষ্ট করে বলেন, ইউরোপের কয়েকটি দেশে আমেরিকার পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন অবশ্যম্ভাবীভাবে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বা এনপিটি’র লংঘন। নতুন করে পরমাণু অস্ত্রের প্রতিযোগিতা ঠেকাতে হলে আমেরিকার এই সমস্ত অস্ত্র অবশ্যই ফেরত নিতে হবে।
গতকাল বুধবার বার্তা সংস্থা তাসকে সের্গেই ল্যাভরভ আরো বলেছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে রাশিয়া প্রস্তুত ছিল কিন্তু খেলোয়াড়, সাংবাদিক এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধিদের ওপর এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে তা আশা করে নি মস্কো।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছে। রাশিয়া দাবি করছে, ইউক্রেনকে অসামরিকীকরণ এবং নাৎসিবাদ মুক্ত করার জন্য এই অভিযান চালানো হচ্ছে তবে মস্কোর এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন এবং পশ্চিমা দেশগুলো।