ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা যুদ্ধের পক্ষে নই। তবে বাংলাদেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।’
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই নির্দেশ দেন। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো ধরনের ক্ষতি না হয় সেজন্য রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, বাংলাদেশের সার আমদানিতে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)
সংস্থাটির চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ বলেন, রাশিয়া, বেলারুশ, মরক্কো, তিউনিশিয়া ও সৌদি আরব-এই পাঁচটি দেশে সার উৎপাদন হয়। আমাদের দেশের কৃষি সারের ওপর নির্ভরশীল। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে তার প্রভাব পড়তে পারে সার আমদানিতে। সার আমদানিতে এর প্রভাব পড়লে আমাদের কৃষি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের নতুন দফতরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএডিসি চেয়ারম্যান ।
বিএডিসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে ইউরিয়া কিছুটা উৎপাদিত হয়। তবে অধিকাংশই বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। নন ইউরিয়া সারের প্রায় ৯০ ভাগই বাইরের দেশ থেকে আমদানি করতে হয়।’ তিনি বলেন, রাসায়নিক সার মাটির জন্য ক্ষতিকর। তাই বিএডিসির জমিতে জৈবসার উৎপাদন করার পরিকল্পনা রয়েছে। যেন রাসায়নিক সারের ওপর নির্ভরশীলতা কমে।