নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যার পর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সেখান থেকে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুসহ ছাত্রদলের অন্তত ২০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, রাজধানীর রুপনগর থানায় ছাত্রদলের কর্মী সভায় স্থানীয় ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও পুলিশ হামলা করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নাইটিংগেল মোড়ের কাছে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় ছাত্রদলের ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আটক করা হয়েছে কয়েকজনকে।
মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আব্দুল আহাদ জানান, বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। ইতোমধ্যে রফিকুল আলম মজনুসহ ১০/১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
পল্টন থানার ওসি সালাহউদ্দিন বলেন, ছাত্রদল কর্মীরা আকস্মিভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় ৮/১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুলিশ বাধা দিলে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকি গুলি ছোঁড়ে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজন আটক করে। এসময় ধাওয়াকালে পড়ে গিয়ে পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের পর রফিকুল আলম মজনুসহ বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। এসময় পুলিশ কার্যালয়ের সামনে যাকে পেয়েছে তাদেরকেই আটক করে।
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ বলেন, ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম মজনুসহ ২০ থেকে ২৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।