কৌশলগত ভারসাম্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব
Advertisements

অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো অপারেশন ইন ইউরোপ বা ওএসসিই-তে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার লুকাশেভিচ বলেছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার দাবি যদি মানা না হয় তাহলে বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনবে।

তিনি বলেন, “রাশিয়ার প্রতি যদি আমেরিকা ও ন্যাটো জোটের আগ্রাসী আচরণ অব্যাহত থাকে তাহলে কৌশলগত ভারসাম্য নিশ্চিত করার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। একইসঙ্গে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যেসব অগ্রহণযোগ্য হুমকি রয়েছে তা আমরা দূর করব।” অবশ্য, তিনি একইসঙ্গে বলেছেন, সংকট নিরসনের ক্ষেত্রে মস্কো কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাদ দেবে না বরং জোরদার করবে।

চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকা ও ন্যাটো সামরিক জোটের কর্মকর্তাদের দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে কিন্তু আলোচনায় কোনো রকমের অগ্রগতি হয় নি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় সর্বশেষ আলোচনা হয়েছে। সে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেবিগনিউ রাও বলেছেন, গত ৩০ বছরের মধ্যে এখন যুদ্ধের আশংকা অনেক বেশি।

অন্যদিকে, ওএসসিই-তে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইকেল কার্পেন্টার বলেছেন, যুদ্ধের দামামা বাজার শব্দ শোনা যাচ্ছে। এছাড়া, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার জেইক সুলিভান সাংবাদিকদের বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের ঝুঁকি অনেক বেশি।

ইউক্রেন ইস্যুতে আমেরিকা ও তার ন্যটো জোটের মিত্রদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে খারাপ। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া সেনা মোতায়েন করেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক আগ্রাসন চালাতে পারে -এমন ধারণা সৃষ্টি করে আমেরিকা ও ন্যাটো জোটের মিত্ররা ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন করেছে। মস্কো বলছে, রাশিয়ায় আগ্রাসন চালানোর লক্ষ্য নিয়ে পশ্চিমারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। চলতি সপ্তাহে যেসব বৈঠক হয়েছে তাতে রাশিয়া নিজের নিরাপত্তা ও ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি জানিয়েছে।

Advertisements