সাংবাদিকদের মর্যাদা, দাবি ও অধিকার রক্ষায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিএমএসএফ। সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে যেমনি স্বোচ্চার ভুমিকা রাখছে তেমনি সাংবাদিকদের জীবনমান উন্নয়নে ১৪ দফা দাবি আদায়ে প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করে চলছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যম অঙ্গণের নানা অসঙ্গতি নিয়েও বিএমএসএফ প্রথম সারিতে কথা বলছে। ১৪ দফা দাবির পক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ সাবেক-বর্তমান তথ্য মন্ত্রীর নিকট একাধিক স্মারকলিপি পাঠানো হয়। দেশ স্বাধীনের ৪৫ বছর সময়ে ২০১৬ সাল থেকে জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের প্রয়োজনীয়তা তুলে বিগত ৫বছর ধরে সপ্তাহটি উদযাপন করে যাচ্ছে। জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহটি সারাদেশের বিএমএসএফ’র পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়ে আসছে। এবছর ১-৭ মে ২০২২ সালে ৬ষ্ঠবারের মত দেশে উদযাপিত হবে।
সাংবাদিক নির্যাতনরোধ কল্পে গড়ে তোলা হয়েছে সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি। ২০২০ সালে দেশে যখন মহামারী করোনার প্রকোপের মাঝেও সাংবাদিক নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল ;ঠিক তখনি গড়ে তোলা হয় সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি। বর্তমানে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ৩ শতাধিক শাখার পাশাপাশি ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির ৪৫টি শাখা মাঠে সক্রিয় ভাবে কাজ করছে। দেশে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া-রূপসা থেকে পাথরিয়ায় কোথাও কোন সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিএমএসএফ ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির কর্মীরা গর্জে ওঠে। আর তাইতো দেশে সাংবাদিক নির্যাতন-হামলা-মামলার ঘটনা হ্রাস পাচ্ছে। সম্প্রতি দেশে চলমান নির্বাচনগুলোতে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা হ্রাসই তার প্রমান। বিএমএসএফ’র কর্মীরা দেশের আনাচে কানাচে মাথা উঁচু করে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে চলছে।
এ ব্যাপারে বিএমএসএফ প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ আবু জাফর এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সময়ের প্রয়োজনে যেমনি বিএমএসএফ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে; তেমনি গড়ে উঠেছে সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি। সাংবাদিকদের স্বার্থে গড়ে উঠেছে জার্নালিষ্ট শেল্টার হোম। যেখানে নির্যাতন ও মামলার শিকার সাংবাদিকদের আশ্রয় ছাড়াও সারাদেশ থেকে প্রতিনিয়ত রাজধানীতে আসা সাংবাদিকরা থাকা-খাওয়ার সুযোগ পাবেন। তাই ২০২১ সালের শুরুর দিকে জার্নালিষ্ট শেল্টার হোম গড়ে তোলা হয়। এছাড়া সাংবাদিকদের মূখপত্র হিসেবে মিডিয়া ক্যানভাস নামে একটি পত্রিকা বের করা হয়।
দেশ-মাটি ও মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় মাসকে সামনে রেখে সারাদেশের সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে পহেলা ডিসেম্বর বিজয় শোভাযাত্রা উদযাপন করা হয়। এবছর ৫ম বারের মত দেশে বিজয় শোভাযাত্রা উদযাপিত হয়েছে। এবছর করোনার প্রভাবমুক্ত না হওয়ায় অল্পসংখ্যক জেলা-উপজেলায় শোভাযাত্রাটি উদযাপিত হয়।
সংগঠনের ১০ বছর সময়ে ৪টি জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়। ১২১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির আওতায় রয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ, স্থায়ী কমিটি, উপ-কমিটি, আইন উপদেষ্টা পরিষদসহ জেলা উপজেলা শাখা। সংগঠনের ভিত মজবুত রাখতে আজীবন সদস্য এবং দাতা সদস্যপদও রয়েছে। বিগত ১০ বছরে সারাদেশের প্রায় দুই শতাধিক মামলা-হামলার শিকার সাংবাদিককে আইন পরিষদের সহযোগিতায় আইনী ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সংগঠনের বিজ্ঞ আইন উপদেষ্টা সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি এ্যাড. কাওসার হোসাইন বলেন,
অপর আইন উপদেষ্টা এ্যাড. মো: আওলাদ হোসাইন বলেন, অর্থনৈতিক ভাবে সীমাবদ্ধ এ সংগঠনটি সবসময় নির্যাতন ও মামলার শিকার সাংবাদিকের পাশে দাঁড়াতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। চিকিৎসা বিষয়ক উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে গঠিত টিম করোনাকালীন সময়ে সাংবাদিক পরিবারসহ সাধারণ প্রায় ১৫ হাজার ব্যক্তিকে পরামর্শ প্রদান করেন। চিকিৎসা বিষয়ক উপদেষ্টা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জাহিদুল বারীর নেতৃত্বে ৩ সদস্য বিশিষ্ট টিম চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছেন।
সাংবাদিকদের নানামূখী সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করতে গড়ে তোলা হয় গবেষণা টিম। বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাংবাদিক আবুল হাসান বেলালের তত্ত্বাবধানে এ টিম গড়ে তোলা হয়। অনুসন্ধানী সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমনকে এই টিমের উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত রাখা হয়। গত ১৫ জুলাই এই টিম বিগত ৯ বছরে সাংবাদিক নিযাতনের একটি চিত্র গণমাধ্যমে তুলে ধরেন।