ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র স্থলবাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ পাকপুর বলেছেন, তার বাহিনী নতুন নতুন হুমকির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজের প্রতিরক্ষা শক্তির আধুনিকায়ন করেছে।আইআরজিসি’র পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোন শত্রুর যেকোনো লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার সক্ষমতা অর্জন করেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
জেনারেল পাকপুর ১৭তম মহানবী (সা.) সামরিক মহড়ার অবকাশে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমরা শত্রুর নতুন নতুন হুমকিকে আমলে নিয়ে সে অনুযায়ী নিজেদের সামরিক সক্ষমতার আধুনিকায়ন করি। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে আমরা সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে গণহারে কমব্যাট ড্রোন তৈরি করছি।
আইআরজিসি’র স্থলবাহিনীর কমান্ডার বলেন, প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করতে গিয়ে আমরা এমন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছি যা হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। চলতি সামরিক মহড়ায় এসব ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু নমুনা প্রদর্শন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের দিক দিয়েও ইরান উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে জানান জেনারেল পাকপুর। তিনি বলেন, আমাদের ট্যাংক থেকেও এখন কয়েক কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানা সম্ভব।
হরমুজ প্রণালি এবং পারস্য উপসাগর তীরবর্তী হরমুজগান, বুশেহর ও খুজিস্তান প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গত সোমবার থেকে ১৭তম মহানবী (সা.) সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে।