ছবিতে: তেলিহাটি ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আব্দুর রহিম।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আব্দুর রহিমের নামে ঘুষ নিয়ে দুই বছরেও খারিজ করতে না পারায় বিষয়টি জানাজানি হলে খারিজ করাসহ ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সংবাদ না করার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ঘুষ নেওয়া প্রসঙ্গে জানতে গেলে তেলিহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।এ সময় তিনি ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে স্বীকার করে বলেন, দেই দিচ্ছি করে ব্যক্তিগত কাজে এবং করোনার কারণে দীর্ঘদিন অফিস বন্ধ থাকায় কাজটি করতে দেরি হয়ে গেছে। আমি আগামী একমাসের মধ্যে ওই জমির খারিজটি করে ভুক্তভোগী হামিদা বেগমকে টাকাটা ফেরত দিবো।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকারি ফি ১১শ ৭০ টাকা হলেও উপজেলার দেওয়ানের চালা গ্রামের আবু হোসেনের স্ত্রী হামিদা বেগম ৫.২৫ শতাংশ জমি খারিজের জন্য ২০১৯ সালে আবেদন করেন। আবেদনকারী হামিদার কাছে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন তেলিহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ সহকারী কর্মকর্তা আব্দুর রহীম। পরে সাড়ে নয় হাজার টাকা নেন তিনি। ২০২১ সালে এসেও খারিজ সম্পন্ন করতে না পারায় বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের জানান হামিদা বেগম।
এ বিষয়ে তেলিহাটি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ জানান, টাকা নেয়া বা অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এ বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।