পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ীদের কাছ থেকে আদায় করা জরিমানার টাকা থেকে দূষণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুপারিশ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে বলা হয়, ‘জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে যায়। সেই টাকা পরিবেশ দূষণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণে ব্যয় করলে তাদের পাশে দাঁড়ানো যায়।’
বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তর দূষণকারীদের বিরুদ্ধে সবসময় ব্যবস্থা নিচ্ছে। তাদের কাছ থেকে জরিমানাও আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু দূষণের কারণে যারা ক্ষতির শিকার হচ্ছে, তাদের জন্য কিছু করা হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো কারখানার কারণে যদি কোনো নদী দূষণ হয়, তবে আমরা জরিমানা আদায় করছি। কিন্তু দূষিত ওই নদীর পানি ব্যবহার করে অনেকের চর্মরোগসহ নানা ব্যাধি হচ্ছে।’
‘কমিটি মনে করে এই ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা ব্যয় জরিমানার অর্থ থেকে করা গেলে ভালো হয়। তাহলে তাদের পাশে দাঁড়ানো হয়,’ যোগ করেন তিনি।
সংসদীয় কমিটির এই সুপারিশের সঙ্গে মন্ত্রণালয় নীতিগতভাবে একমত পোষণ করেছে বলে জানিয়েছেন সাবের হোসেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছরে পরিবেশ অধিদপ্তর মোট ৩৮৫ কোটি টাকা জরিমানা করেছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৭-১৮ থেকে জানা গেছে, ওই বছরে অধিদপ্তর দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।