সংযুক্ত আরব আমিরাত পাঁচ হাজার ইসরাইলিকে নাগরিকত্ব দিয়ে ফিলিস্তিনি জাতি ও মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলন। আবু ধাবিকে ‘বিশ্বাসঘাতক ও আপসকামী’ সরকার বলেও অভিহিত করে ইসরাইলি-বিরোধী এই প্রতিরোধ আন্দোলন।
ইসলামি জিহাদের মুখপাত্র তারিক সালমি ইয়েমেনের আল-মাসিরা টিভি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ অভিযোগ করেন। তিনি দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে আরব আমিরাতসহ অন্যান্য আরব দেশকে তাদের ভুল হিসাব-নিকাশ পুনর্বিবেচনা করা আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিশেষ করে সাম্প্রতিক গাজা যুদ্ধে যখন ফিলিস্তিনি জনগণের শক্তিমত্তা এবং তেল আবিবের ‘অজেয়’ থাকার ভুয়া দাবি প্রমাণিত হয়েছে তখন ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে আরব দেশগুলোর দুর্বলতা প্রকাশ করা উচিত হবে না।
গত বৃহস্পতিবার ‘এমিরাটস লিকস’ ওয়েবসাইট খবর দেয়, গত তিন মাসে প্রায় ৫,০০০ ইসরাইলি সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিকত্ব লাভ করেছে। আরব আমিরাত বিদেশিদেরকে নাগরিকত্ব দেয়ার বিধান রেখে আইন সংশোধন করার পর ইহুদিবাদীদেরকে এই সেবা দেয়া হয়। এর আগে বিদেশিদেরকে নাগরিকত্ব দিত না সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এমিরাটস লিক্স জানায়, পুঁজি বিনিয়োগের অজুহাতে দুবাই ও আবুধাবিতে ইসরাইলি নাগরিকদের আনাগোনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। সূত্রগুলো বলেছে, ইসরাইলিরা তাদের নিজস্ব নাগরিকত্ব ত্যাগ না করেই আরব আমিরাতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করার সুযোগ লাভ করেছে। এই নাগরিকত্ব লাভের ফলে ইহুদিবাদীরা এখন অনায়াসে এবং অগ্রিম ভিসা গ্রহণ করা ছাড়াই পারস্য উপসাগর ও আরব দেশগুলো অতিক্রম করতে পারবে।
পার্সটুডে