৪৬টি ওষুধ কোম্পানির উৎপাদন লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
মন্ত্রী বলেছেন, ওষুধের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। নকল-ভেজাল ওষুধ বিক্রি প্রতিরোধে সরকার কঠোর। আর নকল ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে সরকার নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে মোবাইল কোর্টে এক হাজার ৭১৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাতে সাত কোটি ৫৮ লাখ একশ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ৪৬টি ওষুধ কোম্পানির উৎপাদন লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে।এর মধ্যে ১৭টি হোমিও ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি, চারটি হার্বাল ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি, ৫টি এলোপ্যাথিক, ৬টি ইউনানি এবং ১৪টি আয়ুর্বেদিক ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি রয়েছে। এসব কোম্পানির সব প্রকার ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ স্থগিত করা হয়েছে বলে সংসদে জানান তিনি।
এদিকে দেশে পুষ্টিহীনতা বিষয়ে সব বয়সের মানুষের নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান সরকারের হাতে না থাকলেও এক্ষেত্রে সফলতার দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। হাজী মো. সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি নারীদের পুষ্টি পরিস্থিতির একটি চিত্র তুলে ধরেন। মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের অপুষ্টিজনিত কম ওজন ২০১৭-১৮ সালে ছিল ১২ শতাংশ; ২০০৭ সালে তা ৩০ শতাংশ ছিল।