বাংলাদেশের সমাজ সংস্কৃতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২১ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে একুশে পদক-২০২১ বিতরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।অনুষ্ঠানে তার পক্ষ থেকে পদক হস্তান্তর করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এ পুরস্কার কোনো ব্যক্তিবিশেষের জন্য নয়, সমগ্র জাতির জন্যই সম্মাননা। শেখ হাসিনা বলেন, ‘একুশের পথ বেয়েই আমাদের রক্তস্নাত স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সব অর্জন। বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাসে একুশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
ভাষা আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকার জন্য এ বছর পদক পেয়েছেন মোতাহার হোসেন তালুকদার (মরণোত্তর), শামছুল হক (মরণোত্তর) ও অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর)
বেগম পাপিয়া সারোয়ার সংগীতে, রাইসুল ইসলাম আসাদ ও সালমা বেগম সুজাতা অভিনয়ে, আহমেদ ইকবাল হায়দার নাটকে এবং সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য সম্মাননা লাভ করেছেন।
ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় আবৃত্তিতে, পাভেল রহমান আলোকচিত্রে এবং গোলাম হাসনায়েন, ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর) মুক্তিযুদ্ধে রাখা অবদানের স্বীকৃতি পেয়েছেন।
অজয় দাশগুপ্ত সাংবাদিকতায়, অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা গবেষণায়, মাহফুজা খানম শিক্ষায়, ড. মির্জা আব্দুল জলিল অর্থনীতিতে ও অধ্যাপক কাজী কামরুজ্জামান সমাজসেবায় পদক পেয়েছেন।
এছাড়া , কাজী রোজী, বুলুবুল চৌধুরী ও গোলাম মুরশিদ ভাষা ও সাহিত্যে নিজেদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক পেয়েছেন। তাদের প্রত্যেককে একটি স্বর্ণপদক, সনদ ও দুই লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পদক বিজয়ীদের নামে মানপত্র পাঠ করেন এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
পার্সটুডে