গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে আসা এক শিক্ষার্থীকে অভিভাবকের নিকট পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার পশ্চিমে ‘কোরআনের আলো মহিলা ইন্টাঃ মাদ্রাসা’ থেকে পালিয়ে যায় মরিয়ম (৭)।মরিয়ম ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানার কামান্না গ্রামের শিহাব উদ্দিনের কন্যা।
মরিয়ম দুপুরে খাবারের সময় মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে ফ্লাইওভারের নিচে এসে কান্নাকাটি করতে থাকলে ‘সংবাদ প্রকাশ’র গাজীপুর প্রতিনিধি মোজাহিদের দৃষ্টিগোচর হয়। এর পরপরই সে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ ‘Mojahid Activities’ থেকে একটি ফেসবুক লাইভ করে এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে অবগত করে। এরপর কিছু সময়ের মধ্যেই শ্রীপুর থানার এসআই মফিজুর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ফেসবুক লাইভ দেখে মরিয়মের পিতা ফ্লাইওভারের নিচে চলে আসে। তখন এসআই মফিজুর রহমান তার পিতামাতার নিকট মরিয়মকে হস্তান্তর করেন এবং মাদ্রাসাটি পরিদর্শন করেন। ওই সময় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাউকেই পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মরিয়মের পিতা শিহাব উদ্দিন জানান, মরিয়মের রাগ অনেক বেশি। সে রাগ করে মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে গেছিল। সে বাড়িতে যেতে চাইছিল, বাড়ি না নিয়ে যাওয়ায় সে সুযোগ পেয়ে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়।
সংবাদকর্মী মো. মোজাহিদ জানান, দুপুরে মাওনা চৌরাস্তা ফ্লাইওভার এর নিচে আসলে মরিয়মকে কান্না করতে দেখি। জিগ্যেস করলে সে তার বাবামায়ের নাম ব্যতীত আর কিছুই স্পষ্টভাবে বলতে পারেনি। পরে একটি ফেসবুক লাইভ করি। অতঃপর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে শ্রীপুর থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করি। এর ২০ মিনিটের মধ্যেই শ্রীপুর থানার এসআই মফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পুলিশ আসার এক মিনিটের মধ্যেই মরিয়মের পিতা ফ্লাইওভারের নিচে আসেন। এরপর এসআই মফিজুর রহমান মরিয়মকে তার পিতামাতার নিকট হস্তান্তর করেন।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুর রহমান জানান, সংবাদকর্মী মোজাহিদের ফোন পেয়ে মূলত তার সহযোগীতায় ও শ্রীপুর থানার ওসি স্যারের দিক নির্দেশনায় মরিয়মকে তার পিতামাতার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।