ঈদুল আজহা ঘিরে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান ‘কঠোরতম’ বিধিনিষেধের মধ্যে গার্মেন্টসহ বিভিন্ন কলকারখানা শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে গণপরিবহন চলবে বলে জানা গেছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে বাস চলাচল করবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সময় আরও বাড়ানো হতে পারে।
শনিবার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সমকালকে বলেছেন, জনগণের দুর্ভোগ লাগবে তাৎক্ষণিক বিবেচনায় রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দূরপাল্লার বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সময় আরও বাড়ানো হতে পারে।
সরকারের তথ্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের কাজে যোগদানের সুবিধার্থে ১ আগস্ট দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী সব শিল্প কলকারখানা খুলে দেওয়র ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে করোনাভাইরাসের কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে রাস্তায় কর্মজীবী শ্রমিকদের ঢল নামে। তাদের কেউ হেঁটে, কেউ ট্রাকে, কেউ বিকল্প কোনো যানে ঢাকামুখী যাত্রা শুরু করেন। এ দুর্ভোগের কথা চিন্তা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে কোনো কোনো জায়গায় বাস চলাচল শুরু হয়েছে বলেও জানা গেছে।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এ ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। সে পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পরিবহন শ্রমিকরা বাস চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চালানো হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের সব নৌরুটে যাত্রীবাহী নৌযানও চলাচল করবে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থাও (বিআইডব্লিউটিএ) শিল্পকারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার জন্য শনিবার রাত ৮টা থেকে নৌযান চলাচলের অনুমতি দিয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ তথা সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত সময়সীমার এ লকডাউন চলাকালে সব ধরনের গণপরিবহনের পাশাপাশি নৌযান চলাচলও বন্ধ ছিল।