Dhaka's best infertility
Advertisements

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সন্তান ধারণের চেষ্টা করার পর টানা এক বছর সময়কাল যদি কেউ সফল না হন তাহলে তাকে ইনফার্টাইল বা সন্তান ধারণে অক্ষম হিসেবে গণ্য করা হয়।বাংলাদেশে কত শতাংশ দম্পতি বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছেন, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে বন্ধ্যাত্ব নারী ও পুরুষ উভয়েরই হতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, সন্তান ধারণে অক্ষম নারী ও পুরুষের সংখ্যা একই রকম। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বাংলাদেশে নারীদেরই এজন্য নিগ্রহের শিকার হতে হয় বেশি। নারীরা প্রধানত কি কারণে সন্তান ধারণে অক্ষম হয়ে থাকেন সে সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন চিকিৎসকরা :

✅প্রেগন্যান্সির জন্য জরুরি পলিসিস্টিক ওভারি, যার মাধ্যমে একটা করে ওভাম আসার কথা, সেটা আসে না।
✅জরায়ুর কিছু সমস্যা থাকে যা জন্মগত হতে পারে আবার অসুখের কারণে হতে পারে।
✅জন্মগত সমস্যার কারণে হয়ত ডিম আসছে না, তার টিউব ব্লক, জরায়ু যেটা আছে সেটা বাচ্চাদের মতো।
✅আরও কিছু অসুখ আছে, যেমন: ওভারিয়ান চকলেট সিস্ট, এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণে হতে পারে।
✅হরমোনের কারণেও হতে পারে। যেমন থাইরয়েডের সমস্যার কারণে হতে পারে।
✅আর যৌনবাহিত রোগের কারণে মেয়েদের প্রজনন অঙ্গগুলোর ক্ষতি করে। সেজন্য বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।

পুরুষের কিছু সমস্যার কথা চিকিৎসকরা জানিয়েছেন-
✅একটা কারণ এজোস্পার্মিয়া, অর্থাৎ বীর্যের মধ্যে শুক্রাণু নেই। তার নালির কোথাও বাধা সৃষ্টি হয়েছে তাই শুক্রাণু মিলতে পারছে না। শুক্রাণু তৈরি হওয়ার যে স্থান অণ্ডকোষ, কোন কারণে সেটি তৈরিই হয়নি।
✅অনেক সময় শুক্রাণু থাকে কিন্তু পরিমাণে কম থাকে।
✅আবার শুক্রাণুর পরিমান ঠিক আছে কিন্তু মান ঠিক নেই। যার ফলে সে ডিম ফার্টিলাইজ করতে পারে না।
✅এছাড়া টেস্টোস্টেরন হরমোনও ‘সিক্রেশন’ হতে হবে।
✅প্রজনন অঙ্গে কোন ধরনের আঘাত
✅অস্ত্রোপচারের কারণে সৃষ্ট বাধা
✅প্রজনন অঙ্গে যক্ষ্মা
✅ডায়াবেটিস
✅ছোটবেলায় মাম্পস
✅এমনকি মাথায় চুল গজানোর ঔষধও পুরুষদের সন্তান ধারণের অক্ষমতার উৎস।

বাংলাদেশে সন্তান ধারণে অক্ষম দম্পতিরা সামাজিক ও পারিবারিক নিগ্রহের শিকার হন।  সমাজে সন্তানহীনদের বাঁজা, আটকুঁড়ে এসব নামে ডাকা হয়। এসব শোনা অনেক কষ্টকর ও বেদনাদায়ক।

বাংলাদেশে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসার ক্ষেত্রে  ২০০০ সাল থেকেই অগ্রণী ভুমিকা রেখে চলেছেন ডাঃ মুসতাক আহমেদ এবং ডাঃ ফারহানা আনাম। আইভিএফ এবং সহায়ক প্রজনন ক্ষেত্রে তাদের অবদান উল্লেখযোগ্য। অসংখ্য পরিবারের জীবন বদলে দিয়েছেন। হাসি ফুটিয়েছেন। উনাদের হাত ধরে ২০০৩ সালে প্রথম ICSI বেবির জন্ম হয় । তারা ২০০৫ সালে প্রথম ফ্রোজেন ভ্রূণ ট্রান্সফার করেন। এখন পর্যন্ত ১৫০০ শ এর বেশি ICSI বেবির জন্ম উনাদের হাত ধরে হয়েছে।

ডাঃ মুসতাক আহমেদকে দেশের অন্যতম সফল ভ্রূণ বিশেষজ্ঞ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করে নটিংহ্যাম ইউনিভার্সিটি ইংল্যান্ড থেকে এসিস্টেড রিপ্রোডাকশনের উপর মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।বিশ্ববিখ্যাত রিপ্রোডাকশন সাইন্টিস্ট ডাঃ সাইমন ফিশেলের সরাসরি ছাত্র ছিলেন তিনি। তার প্রাথমিক প্রশিক্ষণের মধ্যে ১৯৯৫ সালে জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রজনন চিকিৎসায় স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা জেনেভা ফাউন্ডেশন ফর মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (জিএফএমইআর) এর প্রধান অধ্যাপক আলডো ক্যাম্পানার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়েছিলো। তিনি বাংলাদেশে আইভিএফ, আইসিএসআই, ক্রায়োপ্রিজারভেশন, পুরুষ বন্ধ্যত্ব ব্যবস্থাপনা এবং ফ্রোজেন ভ্রূণ স্থানান্তরে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছেন।

তিনি ২০০৩ সালে “হার্ভেস্ট ইনফার্টিলিটি কেয়ার” নামে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তুলেন।

ডাঃ ফারহানা আনাম বাংলাদেশে স্যালাইন সোনোহিস্টেরোগ্রামকে (এসএইচজি) জনপ্রিয় করার অন্যতম একজন। ব্যথামুক্ত ও সাশ্রয়ী পদ্ধতিটি ফ্যালোপিয়ান টিউব পরীক্ষা করার জন্য প্রচলিত হিস্টেরোসালপিঙ্গোগ্রাম (এইচএসজি) এবং ল্যাপারোস্কোপির জনপ্রিয় বিকল্প হয়ে উঠেছে। এছাড়াও, ডাঃ ফারহানা আনাম বেশ কয়েকজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে নিরাপদ ডিম্বাণু সংগ্রহ কৌশলের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। নিরাপদ ডিম্বাণু সংগ্রহ যা IVF এর অপরিহার্য অংশ।

চেম্বারঃ প্রতি রবি ও বুধবার বিকেল ৪ টা থেকে রাত ৮ টা।

উত্তরা জেনারেল হাসপাতাল।
বাসা-৬৫, রোড-১৩, সেক্টর ১০, উত্তরা, ঢাকা।
যোগাযোগঃ ০১৫৩১১৮১৪৪৮।

Advertisements