Tariq Rahman
Advertisements

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “সংস্কার নাকি নির্বাচন”—এ ধরনের জিজ্ঞাসা বিএনপির কাছে স্রেফ অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণীত কূটতর্ক। তিনি মনে করেন, রাষ্ট্র, রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দলের গুণগত পরিবর্তনের জন্য সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই অপরিহার্য।

বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, ২০২৪ সাল ছিল দেশের জনগণের জন্য একটি ঐতিহাসিক বছর, যেখানে মাফিয়া স্বৈরাচার অপমানজনকভাবে পলায়ন করেছে। ২০২৫ সালে নতুন সম্ভাবনার যাত্রা শুরু হয়েছে, যা নিরপরাধ বাংলাদেশ গড়ার পথকে সুগম করেছে।

তারেক রহমান শহীদ ও গুম হওয়া ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের স্মরণ করে বলেন, “ছাত্রদল দেশের ছাত্রসমাজের কাছে একটি জনপ্রিয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে। মেধা ও মননের মাধ্যমে সংগঠনটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে।” তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, “কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত যেন গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বিনষ্ট না করে। প্রত্যেক নেতাকর্মীকে সজাগ থাকতে হবে।”

তিনি বলেন, “ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়তে ছাত্র ও তরুণদের ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। এ লক্ষ্যে সংস্কার এবং নির্বাচন উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ।”

তারেক রহমান বলেন, “বিদ্যমান ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী করতে সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নির্বাচন সবচেয়ে কার্যকর পন্থা। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে এবং রাষ্ট্রে তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করে।”

তিনি আরও বলেন, বিএনপি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাতীয়তাবাদী শক্তির মূল লক্ষ্য হলো একটি কার্যকর, মর্যাদাসম্পন্ন এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বে প্রভাবশালী বাংলাদেশ গঠন।

Advertisements