সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে দাপুটে জয় পেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ১৬৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১১ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে টাইগাররা। এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরল স্বাগতিকরা।
সোমবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২০৭ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের পরও তীরে গিয়ে তরী ডুবায় বাংলাদেশ। জাকের আলি (৬৮) ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের (৫৪) জোড়া ফিফটির পরও ৩ রানে হেরে যায় টাইগাররা।
আজ বুধবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান করে শ্রীলংকা। টার্গেট তাড়া করতে নেমে হেসেখেলে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান করে শ্রীলংকা। ইনিংসের শুরুতে এক রানে ১ উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে ৪২ বলে ৬৬ রানের জুটি গড়েন কুশাল মেন্ডিস ও কামিন্দু মেন্ডিস।
একটা সময়ে শ্রীলংকার সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১১২ রান। ষষ্ঠ উইকেটে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দাসুন শানাকা ৩৭ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন। তাদের জুটিতে ১৬৫ রান তুলতে সমর্থ হয় শ্রীলংকা।
দলের হয়ে ২৭ বলে ৩৭ রান করেন কামিন্দু মেন্ডিস। ২২ বলে ৩৬ রান করেন কুশাল মেন্ডিস। ১৪ বলে ২৮ রান করেন চারিথ আসালঙ্কা। ২১ বলে ৩২ আর ১৮ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ও দাসুন শানাকা।
বাংলাদেশ দলের হয়ে একটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার ও মেহেদি হাসান।
১২০ বলে ১৬৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। ৬.৫ ওভারে স্কোর বোর্ডে ৬৮ রান যোগ করে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। ২২ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ২৬ রান করে ফেরেন তিনি।
৯ ওভারে দলীয় ৮৩ রানে ফেরেন আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস। তিনি ২৪ বলে ৫টি চার আর এক ছক্কায় ৩৬ রান করে ফেরেন।
৮৩ রানে দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ৫৫ বলে ৮৭ রানের অনবদ্য জুটি গড়ে ১১ বল আগেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
দলের জয়ে ৩৮ বলে চারটি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৫ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন তাওহিদ হৃদয়।
শনিবার সিরিজের ‘অঘোষিত ফাইনাল’ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা। সেই ম্যাচে যারা জিতবে সিরিজ তাদের হবে।