মাজহারুল ইসলাম পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। প্রতিদিনের মতো ভোরে চা খেতে বসেন বাসার পাশের একটি চায়ের দোকানে। সেখান থেকেই মেম্বারের ছেলে মুন্নাসহ ৫ জনের নেতৃত্বে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে তুলে নিকটবর্তী একটি কলাবাগানে নিয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় পাষবিক নির্যাতন। এ নির্যাতন যেন মধ্যযুগীয় কায়দাকেও হার মানায়। পরনের লুঙ্গি খুলে পুড়িয়ে দেয় পাষন্ডরা! এরপর বিবস্ত্র অবস্থায় মোটা তার ও লোহার পাইপ দিয়ে বেধড়ক পিটুনি দিয়ে গুরুতর জখম করে দিনমজুর মাজহারুল ইসলামকে। আহত মাজহারুল ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার চরআলগি ইউনিয়নের চরমসলন্দ গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। তিনি প্রায় এক যুগ যাবত শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের রঙিলাবাজার এলাকায় ভাড়া থেকে দিনমজুরের কাজ করছেন।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
দুপুর ১২টার দিকে মুলাইদ গ্রামের জপ্তার পুকুরের পূর্ব পাশে তাকে একটি পিলারের সাথে মাজহারুলকে দুই হাত বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়।এ সময় তাকে জিগ্যেস করলে সে নির্যাতনের ঘটনার বর্ণনা দেয়।
নির্যাতিত মাজহারুল জানান, আমি সকালে ‘চা’ খেতে বাড়ির পাশের দোকানে গেলে মুলাইদ গ্রামের মৃত আমীর মেম্বারের ছেলে মুন্নার নেতৃত্বে স্থানীয় জাহিদুল ও ইমরানসহ মোট পাঁচজন আমাকে একটি কলাবাগানে নিয়ে বিবস্ত্র করে আমার পরনের জামাকাপড় খুলে পুড়িয়ে দেয়। তারা আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছিল। আমার কাছে অল্প কিছু টাকা ছিল, এবং একটি মোবাইল ছিল, সেগুলো নিয়ে যায়। পরে আমাকে এই পিলারের সঙ্গে সকাল ৯টার দিকে বেঁধে রেখে চলে যায়।
এ বিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সজীব হাসান বলেন, খবর পেয়ে ভুক্তভোগী মাজহারুলকে দুপুর দুইটার দিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠাই। পরে চিকিৎসা নিয়ে সে তার বাড়ি ফিরে৷ এ বিষয়ে সে কোনও লিখিত অভিযোগ দেয়নি।