ধর্ষণে অভিযুক্ত তাইজুদ্দিন
ছদ্দনাম ঝর্ণা আক্তার (৩২)। তার তিন সন্তান রেখে ঝর্ণার স্বামী মারা গেছে প্রায় এক যুগ গত হলো। তিন সন্তানের মধ্যে ছোট মেয়ে তার সাথেই থাকতো। ঘটনার সময় তখন রাত প্রায় আটটা। ঝর্ণার মেয়ে প্রয়াত স্বামীর বাড়িতে বেড়াতে গেছে। মেয়ে বেড়াতে যাওয়ার খবর আগে থেকেই জেনে লম্পট তাইজুদ্দিন হামলা করে ঝর্ণার উপর। ঘুমন্ত ঝর্ণা নিজের সম্ভ্রম বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয় সে। সম্ভ্রম হারানোর পর থানায় অভিযোগ দিতে গেলে লম্পট তাইজুদ্দিন ঝর্ণার পথরোধ করে ব্যাপক মারধর করে।
এ ঘটনাটি ঘটে শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাত আটটায় ঝর্ণার নিজ বাড়িতে। এরপর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী নিজেই। অভিযুক্ত তাইজুদ্দিন (৪০) শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল মোতালিব মেম্বারের ছেলে।
ভুক্তভোগী ঝর্ণা (ছদ্দনাম) জানান, আমি তখন ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম। আমার টিনের ঘরের দরজা ছিকল দিয়ে আটকানো ছিলো। কৌশলে তাইজুদ্দিন সেটা খুলে আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। নিজের ইজ্জত রক্ষার শেষ চেষ্টাটুকু করেও আমি পার পাইনি। পরে অভিযোগ দিতে যাওয়ার খবর শুনে আমার উপর হামলা চালায় তাইজুউদ্দিন। ওই সময় আমাকে ব্যাপক মারধরও করে সে। অভিযুক্ত তাইজুদ্দিন এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাকে কিছুই বলছে না। তবে ওসি স্যারের সাথে দেখা করে বিস্তারিত জানাই। এরপর ওসি স্যার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন এবং অতি সত্বর আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত তাইজুদ্দিনের স্ত্রী জানান, বিধবা ঝর্ণার (ছদ্দনাম) বাড়ি নির্মাণের সময় আমার স্বামী বিভিন্ন কাজ করে সহযোগিতা করেছিল, সেভাবেই আমার স্বামীর সঙ্গে পরিচয়। পরে আমার স্বামীকে এবং ওই বিধবা নারীকে আমি সতর্ক করেছিলাম, যেনো আমার স্বামী (তাইজুদ্দিন) ওই বাড়িতে না যায়। কারণ ঝর্ণার স্বামী নেই, পুরুষের মন, কখন কি হয়ে যায় ঠিক নেই। তাছাড়া মানুষ যেকোনও সময় যা-কিছু বলতে পারে। এসব কারণে আমি সতর্ক করার পর আর কোনওদিন তার বাড়িতে যেতে দেখিনি।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান বলেন, একবার শুধু গিয়েছিলাম। অভিযোগটি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে।