পুলিশের ধাওয়া খেয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত ডাকাতি মামলার এক আসামির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের অভিযোগ পুলিশ তাকে মারধর করে পানিতে ফেলে দিয়েছে। এ ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্যসহ দুইজনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
নিহত যুবক মামুন (১৯) গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামের মো. নূরুল ইসলামের ছেলে।
বুধবার (৬ এপ্রিল) সকালে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই মাসুম।
অভিযুক্তরা হলেন, শ্রীপুর থানার কর্মরত পুলিশের উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) মো. শাকিল আহমেদ ও বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামের পুলিশের সোর্স মো. রওশন (৩৫)।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা নিহত মামুনকে মারধর করে ২০ ফিট উপর থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়। এরপর জীবন বাঁচাতে মাঝ নদী পর্যন্ত সাঁতার কেটে যাওয়ার পর ডুবে যায়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অনেক খোঁজা খুঁজি করেও মরদেহের সন্ধান পায়নি। পরবর্তীতে গত ৫ এপ্রিল মঙ্গলবার ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে মামুনের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া বলেন, একটি ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন নিহত মামুন। নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় নিহত যুবকের বড় ভাই বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত রোববার (৩ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৪টায় বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়। ওই ঘটনার দু’দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেক মামুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একটি ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন নিহত মামুন।