গাজীপুরের শ্রীপুরের রাজাবাড়ি ইউনিয়নের সাটিয়াবাড়ি এলাকায় আল আমিন (২৬) নামে এক পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির।
সোমবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।
নিহত আল আমিন (২৬) ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার বারইহাটি গ্ৰামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে। রাজাবাড়ি এলাকার ডার্ড নিট কম্পোজিট কারখানায় চাকরি করতেন। সাটিয়াবাড়ি এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি।
আল-আমিনের স্বজন আব্দুল হাই জানান, সাটিয়াবাড়ি এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি ফোন করে আল-আমিনকে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। পরে মারধর করে আল-আমিনকে গুরুতর আহত করে। মারধর করা ওই ব্যক্তিরা এর আগেও আল-আমিনকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করেছে।
স্থানীয় লোকজন তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নিকটস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, আল-আমিন গত দুই মাস ধরে এক নারীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। ওই নারী সাটিয়াবাড়ি এলাকায় অপর একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে কারখানায় চাকরি করেন। সম্প্রতি ওই নারী জানতে পারেন যে, আল-আমিন বিবাহিত। এরপর তিনি আল-আমিনকে তার ভাড়া বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন। কিন্তু নিষেধ অমান্য করে সোমবার রাতে আল-আমিন আবারো ওই নারীর ভাড়া বাড়িতে যান। এ সময় ওই বাড়ির লোকজন আল-আমিনকে মারধর করেন। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের তথ্য পেয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে তা এখনি প্রকাশ করা যাচ্ছে না। মরদেহটি গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে। তদন্তের পর প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।