বান্ধবীর প্রতারণার খপ্পরে পড়ে গণধর্ষণের শিকার হন শ্রীপুরের এক তরুণী (১৬)। ঘটনার পর সীমানা দ্বন্দ্বে দুইদিন থানায় গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়ে দুইদিন পর মামলা নেন থানা পুলিশ। মামলা নিলেও ঘটনার প্রায় ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও একটি আসামিকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ভিকটিমের পিতার দাবি, পুলিশকে জানালে পুলিশ বলে আসামিদের খুঁজে দিলে তাদেরকে গ্রেফতার করবেন।
বুধবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ভিকটিমের পিতা।
গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণী (১৬) বলেন, প্রতিবেশী রুপার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক। একটি কারখানায় চাকুরী করতাম আমিসহ বান্ধবী রুপা। চাকুরীটা ছেড়ে দেওয়ার পর বেতন তুলতে যাই আমরা দুজন। বেতন উত্তোলনের পর রুপা আমাকে বেড়ানোর কথা বলে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নিজমাওনা গ্রামে নিয়ে যায়। পরে উপজেলার শেষ সীমানার কাছাকাছি নিজমাওনা গ্রামের একটি আকাশমনি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে রুপা তার প্রেমীকের সাথে দেখা করে অল্প সময়ের মধ্যে চলে আসবে বলে আমাকে জানায়। বাগানের ভেতরে অনেকদূর যাওয়ার পর আমি চলে আসতে চাই। তারপর আমাকে মিথ্যা কথা বলে বান্ধবী রুপা আরও ভেতরে নিয়ে যায়। পরে সেখানে থাকা নাজমুল ও সিএনজি চালক এরশাদ আমার সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে। এক পর্যায়ে আমাকে মারধর শুরু করে। পরে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে প্রথমে এরশাদ ও পরে নাজমুল আমাকে ধর্ষণ করে। এসময় রুপা ও শরীফুল আমার হাত-পায়ে ধরে রেখে ধর্ষণে সহায়তা করে।
গত ১৮ মার্চ রাত ১১ টায় উপজেলার নিজ মাওনা গ্রামে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় শ্রীপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়। ঘটনার ২০ দিন পেরিয়ে গেছে, এখন পর্যন্ত কোনও আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ওই মামলায় আসামিরা হলো, নিজ মাওনা গ্রামের নাজমুল (২১) ও ফজু মিয়ার সন্তান এরশাদ (২৬)। যারা গণধর্ষণে সহায়তা করছেন তারা হলেন, শ্রীপুর উপজেলার সিংদিঘী গ্রামের রশীদের সন্তান রুপা (১৮)। নিজ মাওনা গ্রামের মনির হোসেনের সন্তান শরীফ (২০), একই গ্রামের হাবীবুর রহমান (২২) ও ইমরান হোসেন (২১)।
এ বিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার তদন্ত পরিদর্শক মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, আসামিরা পলাতক থাকায় এ গণধর্ষণের ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি, তবে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।