গাজীপুরের শ্রীপুরে অবৈধ উপায়ে নদী পথে আসা ৩৫টি কার্গো ট্রলার ভর্তি কাঠ জব্দ করেছে বন বিভাগ। নদী পথে আসা আনলোড করার সময় বন বিভাগের কর্মকর্তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঠগুলো জব্দ করেন।
শুক্রবার (২ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের সুতিয়া নদীর খেয়াঘাট এরাকায় কাঠগুলো জব্দ করা হয়েছে।জানাগেছে, বরিশাল থেকে নদীপথে আসা কাঠগুলো ভালুকা উপজেলার আকিজ পার্টিকেল নামক কারখানায় যাওয়ার কথা ছিল।প্রতিটি ট্রলারে রয়েছে বিভিন্ন জাতের কাঠ। কাঠগুলো শ্রমিকেরা উঠিয়ে কার্গো কন্টেইনারে ভর্তি করছেন। বন বিভাগের লোকজন আসার পরপরই কন্টেইনার চালকেরা গা-ঢাকা দিয়েছেন।
ট্রলার মালিক আব্দুল হাকিম বলেন, ‘বরিশাল থেকে কাঠ লোড করে শ্রীপুরে নিয়ে আসছি। তবে অনুমতির কাগজপত্র বিষয়ে আমি বলতে পারব না। নিষেধ করার পর থেকে আনলোডের কাজ বন্ধ রয়েছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা জামাল হোসেন বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ যাবৎ শত শত ট্রলারে এসব কাঠ আসছে এ ঘাটে। এরপর কন্টেইনারে করে নিয়ে যাচ্ছে। তবে বৈধ কিনা এ বিষয়ে বলতে পারব না। প্রতিদিন প্রায় অর্ধশতাধিক কন্টেইনার কাঠগুলো নিয়ে যাচ্ছে।’
বন বিভাগের শ্রীপুর রেঞ্জের অধীনে সাতখামাইর বিটের দায়িত্বে থাকা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে কাঠগুলো আনলোডের কাজ বন্ধ করা হয়েছে। জব্দকৃত কাঠের মধ্যে আম,কাঠাল,রেন্ডি কড়ইসহ বিভিন্ন ধরনের কাঠ রয়েছে।তাদের কাঠ বহনের বিষয়ে কী ধরনের অনুমতি রয়েছে, এসব বলার পরপরই কয়েকজন চালক গা-ঢাকা দিয়ে কৌশলে পালিয়েছে। কাঠ মালিকদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’
শ্রীপুর রেঞ্জের দায়িত্বর সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ)রানা দেব বলেন,খবর পেয়ে স্থানীয় সাতখামাইর ও বলদীঘাট বিট অফিসের সকল সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ওখানে ঘাটে বাঁধা কাঠ ভর্তি ৩৫ টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের কি ধরনের অনুমতি রয়েছে, খোঁজ খবর নিয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।