শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বড় ধরনের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে
Advertisements

রামনাথ কোবিন্দ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বড় ধরনের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ভারতও প্রশংসনীয় প্রবৃদ্ধির সাক্ষী হয়েছে। বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ও সফলতা অর্জন করে দুই দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ।

আজ শুক্রবার বাংলাদেশে তাঁর তিন দিনের ‘ঐতিহাসিক’ রাষ্ট্রীয় সফর শেষ করার আগে ভারতীয় সম্প্রদায় এবং ভারত বন্ধুদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে রামনাথ কোবিন্দ এ কথা বলেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার কোবিন্দ তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসেন।

আজকের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ বলেন, আমাদের মধ্যে এমন এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, যাকে বহু পুরনো আত্মীয়তার বন্ধন বলা যায়। আমাদের সম্পর্ক দুটি দেশের বিচক্ষণ নেতৃত্বের দ্বারা সংরক্ষিত হয়ে এসেছে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে রক্তের বন্ধনে আমাদের মধ্যে যে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক হয়েছে, তা ভবিষ্যতেও আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।’

এ সময় রামনাথ কোবিন্দ আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ এই অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হওয়ায় বিশ্বের কাছে প্রমাণিত হয়েছে যে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণের লড়াই একটি ন্যায়সঙ্গত উদ্দেশ্যে ছিল। এই লড়াই ছিল মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য বাংলাদেশের অভ্যুদয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ রমনার ঐতিহাসিক রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন করেন এবং মন্দিরের সংস্কারকাজের উদ্বোধন করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ বলেন, আমি এটিকে মা কালীর আশীর্বাদ হিসাবে মনে করি। আমি শুনেছি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর ভেঙে দেওয়া এই মন্দিরটি সংস্কারে বাংলাদেশ ও ভারতের সরকার ও জনগণ সহায়তা করেছে। এই মন্দিরটি ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের প্রতীক।

ভারতের রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, এই অবিস্মরণীয় বছরে আমাদের দুই দেশ মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, দুই দেশের বন্ধুত্বের ৫০তম বার্ষিকী এবং ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন করবে। আসুন, এ বছরে আমরা আমাদের জাতির পিতাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য নিজেদেরকে আবারও উৎসর্গ করি।

উভয় পক্ষ তাদের প্রবৃদ্ধিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও পরিবেশ-বান্ধব করার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আরও বলেছেন, আমি সবুজ শক্তি এবং পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিশাল সম্ভাবনা দেখছি।

রামনাথ কোবিন্দ বলেন, ভারত বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অর্থনীতির দিকে যাত্রায় সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, দুপক্ষের বন্ধুদের সঙ্গে মিলেমিশে আমরা বৃহত্তর সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

Advertisements