রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জটিল পারকিসন্স রোগে আক্রান্ত। এ কারণে আগামী বছরের জানুয়ারিতেই তিনি নাকি প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অবসর নিতে যাচ্ছেন! রাশিয়ার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এমন রিপোর্টে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
নিজে সামরিক বাহিনীতে ছিলেন। সেই লড়াকু মনোভাব ও কর্মপদ্ধতির যেরে ফের রাশিয়ার হারানো গৌরব অনেকটাই উদ্ধারে সক্ষম হয়েছেন ‘আয়রন ম্যান’ ভ্লাদিমির পুতিন। তবে মস্কোর রাজনৈতিক বিজ্ঞানী ভ্যালেরি সোলোভেই-কে উদ্ধৃত করে নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, পুতিন পারকিসন্স-এ ভুগছেন। তাই তার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করেই দুই মেয়ে এবং বান্ধবী এই গুরুদায়িত্ব থেকে অবসর নেয়ার জন্য ‘চাপ’ দিচ্ছেন। সোলেভেই-এর দাবি, সম্প্রতি পুতিনের শরীরে পারকিসন্স-এর নানা উপসর্গ ধরা পড়েছে। দ্য ইউএস সান-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, পুতিনের যে শারীরিক সমস্যা হচ্ছে সম্প্রতি তার একটি ফুটেজ সামনে এসেছে। তার হাত-পা কাঁপছিল। কলম ধরতেও সমস্যা হচ্ছিল। স্পষ্টতই তার মুখে যন্ত্রণার ছাপ দেখা যাচ্ছিল। এমনকী কাপে করে ওষুধ খেতে গিয়ে তার আঙুল বেঁকে যাচ্ছিল। শারীরিক অবস্থার কথা সামনে আসতেই পুতিনের উত্তরসূরি কে হবেন তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। সোলেভেই-এর দাবি, ইতিমধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ভাবনাচিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাকেই শিখিয়ে-পড়িয়ে পুতিনের উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হবে।
এদিকে, এই সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অফিস। বিষয়টিকে নস্যাৎ করে এবং জল্পনা উসকে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাফ জানান, ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া গোটা বিশ্বেই চলে। এবং এটাই স্বাভাবিক পদ্ধতি। বলে রাখা ভাল, সম্প্রতি রুশ আইনপ্রণেতারা এমন একটি আইন আনতে চলেছেন যা পাস হয়ে গেলে পুতিনের বিরুদ্ধে অপরাধিক মামলা চালানো যাবে না। উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে রাশিয়ান পার্লামেন্টের নিন্মকক্ষে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে দাঁড়ানোর মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব পাশ হয়। এরপরই পুতিনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জল্পনা শুরু হয় বিশ্বের রাজনীতিতে। এতদিন পর্যন্ত রাশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, দুবারের বেশি কেউ প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন না। সেই হিসেবে ২০২৪ সালে ক্ষমতা ছাড়ার কথা ছিল পুতিনের। এমন পরিস্থিত অসুস্থতার কথা প্রকাশ্যে আসায় জল্পনা বাড়ছে।
সূত্র: নিউ ইয়র্ক পোস্ট।