নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার তার নেতাকর্মীদের আটকের প্রতিবাদ জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আর কাউকে গ্রেফতার করা হলে তিনি পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়ের সমানে গিয়ে অবস্থান নেবেন এবং সেখান থেকেই নির্বাচন পরিচালনা করবেন। এসময় তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আজ (মঙ্গলবার) সকালে নগরের মিশনপাড়া এলাকায় প্রধান নির্বাচনী কেন্দ্রে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, “কালকে এসপি অফিসে গিয়েছিলাম তাকে পাইনি। আজকে গিয়ে বলব আমার কাছে আর কোনো বিকল্প নেই। প্রয়োজনে আপনার অফিসের সামনে বসে পড়ব। এখান থেকেই আমি আমার নির্বাচন পরিচালনা করব।”
এ সময় তিনি জানান, সোমবার রাতে বন্দর থেকে তার ১৭ জন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কমপক্ষে ৪০ জনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় তার প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলামকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের ‘ঘুঘু দেখেছেন, ঘুঘুর ফাঁদ দেখেননি’ হুঙ্কার দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তার নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হয়রানি শুরু হয়েছে- এমনটি অভিযোগ করেন তৈমূর আলম খন্দকার।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘রির্টানিং অফিসার নিরপেক্ষ নন। তার কাছে অভিযোগ করেও কাজ হয় না।’
সংবাদ সম্মেলনে তৈমূর আলমের মেয়ে আডভোকেট রেশমী অভিযোগ করে বলেন, বাবার পক্ষে কাজ করায় সোমবার গভীর রাতে ২২নং ওয়ার্ড থেকে তার স্বামী আশরাফুল ইসলামকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। অথচ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় রেশমীকেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল।