রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দৃঢ় প্রত্যয় জানিয়ে বলেছেন, তার দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো হুমকি ও বিদেশি হস্তক্ষেপের কঠোর জবাব দেয়া হবে। তিনি বুধবার (২৭ এপ্রিল) রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ দুমায় দেয়া এক ভাষণে এ সংকল্প ব্যক্ত করেন।
ইউক্রেন যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করে পুতিন বলেন, রাশিয়ায় তৈরি সর্বাধুনিক সমরাস্ত্র দিয়ে এ ধরনের হস্তক্ষেপের জবাব দেয়া হবে। ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ী করে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, তার দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ যেকোনো হুমকি ও হস্তক্ষেপের জবাব দেয়ার সিদ্ধান্ত আগেভাগে নিয়ে রেখেছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় রুশ ভাষাভাষি অধ্যুষিত দোনবাস অঞ্চলকে বেসামরিকীকরণের লক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করেন। আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো এই অভিযানকে ‘পুতিনের ভূমি জবরদখল’ বলে উল্লেখ করেছে। এসব পশ্চিমা দেশ মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে রাশিয়া বলছে, ইউক্রেন মস্কোর একগুচ্ছ দাবি মেনে নিলে সামরিক অভিযান বন্ধ হবে না। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে, ইউক্রেনকে এই অঙ্গীকার করতে হবে যে, সে কখনও ন্যাটো জোটে যোগ দেবে না।
তবে ইউক্রেন রাশিয়ার আহ্বানে সাড়া না দিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া সমরাস্ত্র দিয়ে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২৫টি পশ্চিমা দেশ ইউক্রেনকে সমরাস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সমরাস্ত্র ও ভাড়াটে সেনা পাঠিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে আরো বেশি রক্তপাত ঘটানোর ক্ষেত্র তৈরি করে দিচ্ছে।