কৃষক আবুল কাশেমের ছেলে সখ করে বাছুটির নাম রেখেছে টুনটুনি। সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর রেকর্ডধারী রানির মৃত্যু হয়েছে।
গত বছরের ৮ ভাদ্রমাসে জন্ম নিয়ে দুনিয়াতে আসে বাছুরটি। অন্য গরুর স্বাভাবিক গড়নের চেয়ে ছোট দেখতে বাছুরটি।গিনেস রেকর্ড গড়া সাভারে রানির মতই খর্বাকৃতির দেহাবয়ব টুনটুনির। ৪শ ৩৬ দিন বয়সী টুনটুনির মধ্যে অনেকেই রানির বৈশিষ্ট্য খুঁজছে। বাছুরটির উচ্চতা ২১ ইঞ্চি ও ওজন মাত্র ২২ কেজি।
জানা যায়, এই বাছুরের জন্ম হয়েছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের হায়াতখারচালা গ্রামের আবুল কাশেমের বাড়িতে।
গত বছরের ৮ ভাদ্র জন্ম নেয় বাছুরটি। খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন ওজন মাপার স্কেল ও ফিতা নিয়ে ওই গ্রামের কৃষকের বাড়িতে উপস্থিত হয়। সাদা রঙের বাছুরটি বাছুরের দৈর্ঘ্য, পরিধি ও ওজন মাপা হয়।
দেশি জাতের এই বাছুরটির উচ্চতা, বয়স ও ওজন বিবেচনায় এটি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়া সাভারের রানি নামে খর্বাকৃতির গরুর চেয়ে কিছু পার্থক্য আছে। রানির ওজন ছিল ২৬ কেজি। টুনটুনির ওজন মাত্র ২২ কেজি। রানির উচ্চতা ছিল ২০ ইঞ্চি, টুনটুনির উচ্চতা ২১ ইঞ্চি।
গরুর মালিক আবুল কাশেম জানান, দেশি জাতের আমার গাভীটি এর আগেও বেশ কয়েকটি বাচ্চা দিয়েছে। কিন্তু সেগুলো স্বাভাবিক ছিল। এই বাছুরটি ছোট বামন আকৃতির হয়েছে।
আবুল কাশেমের স্ত্রী জরিনা জানান, বাছুরটি কিছুটা খরগোশের মতো ছোট আকৃতির হয়ে জন্ম নেয়। জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি দ্রুত হাঁটতে শুরু করে। এত ছোট আকৃতির বাছুর তারা এর আগে এলাকায় কেউ দেখেনি। তাদের বাড়িতে প্রায় প্রতিদিন সবাই বাছুরটিকে দেখতে ভিড় জমায়।
গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এস এম উকিল উদ্দিন বলেন, টুনটুনির ওজন ২৩ কেজি ও উচ্চতা ২২ ইঞ্চি বলে জানা গেছে। জিনগত খনিজ ঘাটতি ও হরমোনের কারণে এমনটি হতে পারে। আমাদের কয়েকজন চিকিৎসক বিষয়টি অবজারভেশন করছেন। এমন আকারের গরু আমি এখনও দেখিনি। তবে, রেকর্ডের আওতায় যদি পড়ে তাহলে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।