নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ২৩ জন। শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক এ কে এম এস ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সবশেষ গতরাত সাড়ে ১২টায় তল্লা বড় মসজিদে ইমাম ও ওই এলাকার বাসিন্দা মুদি দোকানি বাহাউদ্দিনের জানাযা শেষে লাশ দাফন করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ ১৪ জন চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সর্বশেষ যে তিনজন মারা গেলেন, তাঁরা হলেন পশ্চিম তল্লা এলাকার বাসিন্দা ও মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ শামীম হোসেন (৪৮), জুলহাস ব্যাপারী (৩০) এবং স্থানীয় পত্রিকার ফটোসাংবাদিক ও শহরের মিশনপাড়া এলাকার বাসিন্দা নাদিম (৪৫)।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হন অর্ধশতাধিক মুসল্লি। এক শিশু, ওই মসজিদের ইমাম আবদুল মালেকসহ ২৩ জনের মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণে মসজিদের ৬টি এসি জ্বলে গেছে, থাই জানালার কাচ উড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট ও পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।