ইসরাইলের নয়া তৎপরতায় সোকল্ড মুসলিম সরকার প্রধান দেশ সমূহের সার্টিফাইড হতে অক্লান্ত চেষ্টা চালিয়ে ব্যাপক পরিসরে সফল হতে যাচ্ছে।
এতে দুনিয়া এক নিউ ডাইমেনশনের স্বরপে আবির্ভাবের প্রেক্ষাপট তৈরি হচ্ছে। জায়নিস্ট এবং ননজায়নিস্ট প্লাটফর্ম।
হতে পারে আহলে কিতাবদের(ইহুদি,খ্রিষ্টান এবং মুসলমান) মধ্যে একদল ননজায়নিস্ট হবে আরেকদল জায়নিস্ট থাকবে। সেখানে মাযহাব ইস্যুটাই অবান্তর হয়ে যাবে।
প্রাথমিক কাজটাই হলো জায়নিস্ট আলেম আইডেন্টিফাই করা। এরা মোটা দাগে দুটো কাজ করবে –
১.হাদীস দিয়ে ইয়াজিদকে মহান করতে যা যা করা দরকার সব করবে।
২.হাদীস দিয়ে ইসরাইলকে সহনীয় তথা মন্দের ভালো হিসেবে উপস্থাপন করবে।
মজার ব্যাপার হলো এ সকল আলেমরা ঠিকমত এন্ড্রোয়েড ব্যবহার না করতে পারলেও সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুনিয়ার কাছে তাদের ফতোয়া রাত দিন প্রচার করতে থাকবে। এদের কোন আধ্যাত্মিক মেজাজ থাকবেনা। এরা বাতিল আর কতলের আলোচনা করে উগ্রতাকেই ইসলাম হিসেবে প্রমোট করবে হেসে হেসে।
শেষ জমানায় ন্যুডিটির মাধ্যমে মুসলমান যতটুকু ঈমান হারা হবে তার চেয়ে বেশি হবে বিপথগামী আলেমদের বয়ান শুনে শুনে।
এদের সাথে কুরআনের সম্পর্ক প্রায় থাকবেই না।
এসব আলেমদের দিয়েই গত এক শতাব্দী ধরে ইসরাইল প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। এখন এপ্লাইয়ের পালা ঢাক ঢোল পিটিয়ে শুরু হলো।
আরব আমিরাত লিবিয়া ইস্যুতে জাতিসংঘ সমর্থিত তুরষ্কের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে ডেকে এনেছিলো। রাশিয়ান মার্সেনারি (ভাড়াটে স্নাইপারদের) দিয়ে হাফতারের হাতকে শক্ত করার জন্য ডলার ঢেলেছে দুহাতে।
পাকিস্তানের সাথে রিয়াদের সম্পর্কের অবনতি, কাশ্মীর ইস্যুতে রিয়াদ -আমিরাতের ভারতপন্থী তৎপরতায় মার্কিন-ইসরাইলের ঘনিষ্ট মিত্রতার প্রধানতম ভূমিকা আমিরাতের।কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে রিয়াদ-আমিরাতের সমর্থন।
এজিয়ান সাগরে গ্রীসের অনৈতিক তুরষ্ক বিরোধী আগ্রাসনে ফ্রান্স-গ্রীস-ইইউয়ের হাতকে শক্তিশালী করতে আমিরাতের এফ-১৬ জঙ্গি বিমানগুলো জড়ো করা হয়েছে গ্রীসের বিমান ঘাঁটিতে।
তাবৎ দুনিয়ার দূর্বলচিত্তের মুসলিম শাসকদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির টোপ হিসেবে ইসরাইলকে বৈধতা এনে দেয়ার মোড়লিপনার দায়িত্বও নিয়েছে আমিরাত।
ফিলিস্তিন,ইসলাম ইস্যু, কাশ্মীর ইস্যু,এজিয়ান-গ্রীস ইস্যু, রিয়াদ-আমিরাতের ইসলাম বিরোধী এবং মার্কিন-ইসরাইল স্বার্থরক্ষা, মার্কিন ব্লক বিরোধী তেহরান-বেইজিংয়ের সম্পর্কোন্নয়ন, ইসলামাবাদের তেহরান ও আঙ্কারাকে কাছে টানা, এজিয়ান ইস্যুতে আঙ্কারা-মস্কো সামরিক মহড়ার আয়োজন পরিষ্কার দুটি আলাদা ব্লককে উপস্থাপন করছে।
একদিকে ওয়াশিংটন-তেলআবিব-লন্ডন-দিল্লী- রিয়াদ-আমিরাত-কায়রো-ইইউ(ইইউয়ের নতুন নেতা এখন ফ্রান্স)।
অপরদিকে মস্কো-বেইজিং-আঙ্কারা-ইসলামাবাদ-তেহরান-দোহা।
যদিও ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এদের(উভয় ব্লকের সদস্যদের মধ্যে) স্বার্থগত ভিন্ন অবস্থান আছে। তবে গ্লোবাল বাইপোলার সিসটেমকে ইঙ্গিত করলে এমন (উল্লেখিত দুই ব্লকের) আভাসই পাওয়া যায়।
চলবে ……