ইরানের বিরুদ্ধে আবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা। ভিয়েনায় পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের সংলাপে যখন একটি চুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তখন মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় বুধবার এক ঘোষণায় ইরানের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
নিষেধাজ্ঞার শিকার ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আলী হোসেইনি বলে উল্লেখ করেছে আমেরিকা। এছাড়া, যেসব কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- দেলিজান ইন্ডাস্ট্রিয়াল সার্চ কোম্পানি, পার্স বানাইয়ে সাদর সিভিল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি, সেপেহর দেলিজান ক্যানোপি কোম্পানি এবং দেলিজান সিনা কম্পোজিট কোম্পানি।
মার্কিন অর্থ বিভাগ দাবি করেছে, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র সঙ্গে সহযোগিতা থাকার অভিযোগে এসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২১ সালের গোড়ার দিকে ক্ষমতা গ্রহণ করেই ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার এবং তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ লক্ষ্যে আমেরিকা অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইরানের পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের আলোচনায় পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণও করে। কিন্তু বাস্তবে নিজের দাবি ইরানের ওপর চাপিয়ে দেয়া এবং ইরানের কোনো দাবি মেনে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ পর্যন্ত ভিয়েনা সংলাপে যতটা অগ্রগতি হয়েছে তা ইরানের পক্ষ থেকে ছাড় দেয়ার কারণে সম্ভব হয়েছে। কিন্তু ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বিশেষ করে ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতি থেকে বাইডেন প্রশাসনের সরে আসার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।