ভাসানচর যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের নতুন দল
Advertisements

রোহিঙ্গাদের আরো ১ হাজার ৭৭৮ একটি দলকে শুক্রবার চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে চারটি জাহাজে ভাসানচরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন রোহিঙ্গারা। এর আগে বৃহস্পতিবার প্রায় ১৮০০ রোহিঙ্গা রওনা হয়ে গেছেন।

জাহাজে ওঠার সময় শাহাবুদ্দিন নামে এক রোহিঙ্গা জানান, ভাসানচরে সুযোগ-সুবিধা বেশি বলে সেখানে থাকা ভাইয়েরা তাকে জানিয়েছেন।

জাহাজে ওঠার আগে রিয়া খাতুন নামে আরেক রোহিঙ্গা জানান, তার চার সন্তান। তাদের নিয়ে তিনি ভাসানচরে যাচ্ছেন। সেখানে তার অন্য আত্মীয়স্বজন রয়েছেন।

শুক্র ও শনিবার দুই দিনে তিন হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের প্রস্তুতি রয়েছে বলে বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা জানিয়ে ছিলেন।

বৃহস্পতিবার ৩৮টি বাসে করে অন্তত ৩৫৩ পরিবারের ১ হাজার ৭৮৭ জনকে চট্টগ্রামে আনা হয়। শুক্রবার আরো ১ হাজার ৩০০ জনকে চট্টগ্রামে আনার কথা রয়েছে। সেখান থেকে তাদের নৌবাহিনীর জাহাজে করে নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানো হবে।

এর আগে ২০২০ সালের ৪ ও ২৯ ডিসেম্বর দুই দফায় ৩ হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্প-২ ইস্ট রোহিঙ্গা শিবিরের কর্মকর্তা (ইনচার্জ) মো. রাশেদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ওই শিবির থেকে স্বেচ্ছায় ছয় শতাধিক রোহিঙ্গা ভাসানচরে যেতে চট্টগ্রামে গেছে।

মিয়ানমারে হত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৮ লাখ রোহিঙ্গা। এর আগে আসে আরো কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।

Advertisements