নিয়োগবিধি সংশোধন করে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবীতে কর্মবিরতি পালন করেছে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীগণ ।
২৬ নভেম্বর সকাল থেকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে কর্মবিরতি পালন করে বাংলাদে হেল্থ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন কাপাসিয়া উপজেলা শাখা।
সংগঠনের প্রধান সমন্ময়ক আরিফ হোসেন সিকদারের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব বেলায়েদ হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন উপদেষ্ঠা চিত্তর ন দাস, আব্দুস সামাদ, এসএম সিরাজুল ইসলাম, আজমল হুদা মিঠু,রুবেলা ইয়াসমিন, মমতাজ উদ্দিন আসাদ, আফরোজা সুলতানা, শাহানাজ পারভিন , ইকবাল হোসেন, প্রমূখ। আরিফ সিকদার জানান, কাপাসিয়া উপজেলায় ২৬৪টি আউটরিচ টিকাদান কেন্দ্র সহ আগামী ৫ ডিসেম্বও অনুষ্ঠিত হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন অনির্দিষ্ঠকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
তাছাড়া নিয়োগ বিধি সংশোধনসহ ক্রমানুসাওে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারিদের বেতন গ্রেড ১৬তম থেকে ১১তম, ১২তম ও ১৩তম গ্রেটে উন্নিত করতে হবে। টেকনিক্যাল বেতন স্কেল ও পদমর্যাদাসহ চার দফা দাবিতে বরিশালে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে স্বাস্থ্য সহকারীরা।
আব্দুস সামাদ বলেন, আমাদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে বেতন স্কেলসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা, মূল বেতনের ৩০ শতাংশ মাঠ-ভ্রমণ ও ঝুঁকি ভাতা এবং প্রতি ছয় হাজার জনগোষ্ঠীর বিপরীতে একজন স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগসহ ১০ শতাংশ পোষ্য কোটা দিতে হবে। মমতাজ উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীরা শিশু ও মাতৃ মৃত্যু হ্রাস, যক্ষা, ধনুষ্টংকার, ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ, সংক্রামক ও অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ, অন্ধত্ব দুরীকরণের লক্ষ্যে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল ও দায়িত্বশীলভাবে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। কিন্তু দাবি মানা হয়নি।
এর আগেও একটি আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল সে অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি না মানার কারণে সারাদেশের ন্যায় উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা টিকা দান (ইপিআই) কর্মসূচিসহ সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি মানা না হলে আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান আন্দোলনকারীরা।
কাপাসিয়া প্রতিনিধি/ আসাদুল্লাহ মাসুম