মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা
Advertisements

‘বিনা দাওয়াত’-এ কুমিল্লায় একটি মাহফিলে হাজির হন আলোচিত ধর্মীয় বক্তা ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। সেখানে তিনি কিছু সময় বক্তব্য রাখেন। প্রশাসনের কাছে এ তথ্য গোপন রাখার কারণে মামুনুল হক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

কুমিল্লার চান্দিনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী।

মামুনুল হকের অংশগ্রহণের বিষয়টি গোপন রেখে ওই মাহফিলে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর কুমিল্লার চান্দিনা থানাধীন জোয়াগ পশ্চিমপাড়া এলাকায় দুই দিনব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আয়োজকরা আমাকে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেয়ার জন্য দাওয়াত করেন।

ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে রাত ১১টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হই। আমি ঢাকায় পৌঁছে শুনতে পেলাম হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক বিনা দাওয়াতে ওই মাহফিলে যোগ দেন। তার কিছু অনুসারীদের অনুরোধে রাত ১২টার পর তিনি বক্তৃতা করেন।

মিছবাহুর রহমান চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, পরদিন মামুনুল হকের ব্যক্তিগত আইডি এবং জামায়াত-শিবিরের ইউটিউব, ফেসবুকসহ যোগাযোগ মাধ্যমে ‘মামুনুল হকের সম্মেলনে মিছবাহুর রহমান চৌধুরী’ শিরোনামে আমার বক্তব্য প্রচার শুরু করে।

কিন্তু মামুনুল হক আসবেন এ বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না। বিনা দাওয়াতে ওই সম্মেলনে যোগদান করার কারণে চান্দিনা থানায় মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।

জানা যায়, ১৪-১৫ ডিসেম্বর চান্দিনার জোয়াগ পশ্চিমপাড়ায় কারী ইসমাইল (রহ.) ফাউন্ডেশন ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে দুই দিনের ইসলামী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে মাওলানা মামুনুল হকের অংশ নেয়ার কোনো কথা প্রশাসন ও এলাকাবাসীকে জানাননি আয়োজকরা।

সম্মেলনের পোস্টারেও তার নাম ছিল না। ১৫ ডিসেম্বর রাত ১২টার দিকে ওই মাহফিলে অংশ নেন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে আলোচনায় আসা মাওলানা মামুনুল হক।

মামুনুল হক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দীন মো. ইলিয়াস।

প্রশাসনকে না জানিয়ে প্রোগ্রাম করার কারণে মাহফিল আয়োজকসহ কয়েকজন বক্তার নামে মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, মাওলানা মামুনুল হক বক্তব্যের মাধ্যমে সেখানে দাঙ্গার পরিবেশ তৈরি করেছিলেন এবং পরিকল্পিতভাবে তার নাম গোপন রাখা হয়েছিল।

এছাড়াও মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীও এ মামলার আসামি। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত কয়েকজনের নাম মামলায় রয়েছে।

বিনা দাওয়াতে মাহফিলে অংশগ্রহণ ও মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার জন্য মাওলানা মামুনুল হক ও তার সহযোগী মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীর ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

Advertisements