করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে শুক্রবার(২১ জানুয়ারি) নতুন ছয় দফা বিধি-নিষেধ সম্বলিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এতে বলা হয়েছে,২১শে জানুয়ারি থেকে ৬ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কিন্তু বাণিজ্য মেলা ও বিপিএল চলছে। এসব বন্ধের কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। আগামী মাসে একুশে বইমেলাও শুরু হবার কথা রয়েছে।
এই অনুষ্ঠানগুলোতে জনসমাগম কীভাবে একো জনের মধ্যে সীমিত রাখা সম্ভব -এমন প্রশ্নও ওঠে সংবাদ সম্মেলনে।
এই প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, “খেলা যেহেতু স্টেডিয়ামে হয়, সেখানে তো একশোর বেশি লোক যেতে পারবে না – এমন বলা যায় না।”
“তবে সেখানেও টিকার সনদ অথবা পিসিআর টেস্টের সনদ নিয়ে যেতে হবে, এছাড়া সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। মেলার ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।”
তিনি জানান, বইমেলা কীভাবে পরিচালিত হবে, সেবিষয়ে এরই মধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া সব পর্যটন কেন্দ্র, হোটেল, রেস্টুরেন্টেও টিকা সনদ বা পিসিআর টেস্ট সনদ নিয়ে যেতে হবে।
যেসব এলাকায় সংক্রমণের হার বেশি, সেসব এলাকার মানুষকে বিধি-নিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
“যেসব জায়গায় সংক্রমণ বাড়ছে, সেখানে সংক্রমণ বাড়ার কারণ হল সেসব জায়গায় মানুষ বিধি-নিষেধ মানছে না। সেসব জায়গায় স্থানীয় প্রশাসনকে জোরদার কার্যক্রম করতে হবে। যদি বাড়তি উদ্যোগ নিতে হয়, প্রশাসন তা নেবে।”
শুক্রবারে জারি করা ছয় দফা বিধি-নিষেধ :
১।২১শে জানুয়ারি থেকে ৬ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
২।স্কুল, কলেজের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
৩।যে কোনো সামাজিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে একশো জনের বেশি জনসমাগম করা যাবে না। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে টিকা সনদ অথবা আগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করা পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট সাথে রাখতে হবে।
৪।সব অফিস, শিল্প কারখানার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে।
৫।বাসার বাইরে সব জায়গায় বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
৬।নির্দেশনাগুলো প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা, তা স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদারক করবে।