বাগরাম বিমান ঘাঁটিতে চীনা সেনা উপস্থিতি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য
Advertisements

আফগানিস্তানের বিখ্যাত বাগরাম বিমান ঘাঁটিতে চীনা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে যে জল্পনা চলছে তা নাকচ করে দিয়েছেন কাবুলে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ওয়াং ইউ। তিনি এ ধরনের জল্পনাকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

ওয়াং ইউ নিজের অফিসিয়াল টুইটার একাউন্টে লিখেছেন, “যারা বাগরাম বিমান ঘাঁটিতে চীনা সামরিক উপস্থিতির গুজব ছড়াচ্ছেন তাদের বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে।” গত দু’দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো এই খবর ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে যে, বাগরাম বিমান ঘাঁটিতে একাধিক চীনা সামরিক বিমান অবতরণ করেছে।তবে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেনি।

আফগানিস্তানের তালেবানের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তালেবান ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দেশটিকে মানবিক সহায়তা দিয়েছে বেইজিং। আফগানিস্তানের সঙ্গে এখনও যেসব গুটিকয়েক দেশ রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের সম্পর্ক বজায় রেখেছে চীন তাদের অন্যতম; যদি তালেবানের নেতৃত্বাধীন নয়া অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি বেইজিং।

গত সপ্তাহে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে তীব্র সমালোচনা করে বলেছিলেন, “আমরা [বাগরামে] একটি বিশাল ও সুন্দর বিমান ঘাঁটি নির্মাণ করেছিলাম যা করতে কয়েকশ’ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছিল।আর সেখান থেকে ঘাঁটির বাতিগুলো না নিভিয়েই একরাতে সেটি ফেলে রেখে চলে এসেছি।” ট্রাম্প আরো বলেন, “এখন এই ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ কার হতে রয়েছে জানেন? চীনের হাতে।”

পার্সটুডে

Advertisements