- বাইডেন জয়ে গালফ নেতারা নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি - সত্য ও নিরপেক্ষ সংবাদ
Advertisements

জো বাইডেনের নির্বাচনী জয়ের ফলে সৌদি আরব এবং অন্যান্য গালফ আরব রাষ্ট্রগুলির জন্য সুদূরপ্রসারী প্রভাব হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি আরবের ক্ষমতাসীন রাজ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র এবং সমর্থক ছিলেন।

তিনি ২০১৭ সালে অফিস নেওয়ার পর রিয়াদকে তার প্রথম বিদেশি সফরের গন্তব্য হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে সাংবাদিক খাশোগি হত্যার অভিযোগের মুখে ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমানকে সমর্থন করেছিলেন ট্রাম্প।

তাছাড়া ট্রাম্প প্রশাসন ইয়েমেনে সৌদিদের একটি মুক্ত হাত দিয়েছিল। এর বিপরীতে বাইডেন কিছুদিন আগে বলেছিলেন যে তিনি ইয়েমেনে ধ্বংসাত্মক সৌদি-নেতৃত্বাধীন যুদ্ধের জন্য মার্কিন সমর্থনের অবসান ঘটাবেন এবং সৌদি আরবের মার্কিন সম্পর্কের পুনর্নির্ধারণের আদেশ দেবেন। প্রেসিডেন্ট ওবামার মধ্য প্রাচ্যের একটি বড় অর্জন ছিল ইরান পারমাণবিক চুক্তি যেখানে কঠোরভাবে পারমাণবিক কর্মকাণ্ডের সীমাবদ্ধতা মেনে চলার এবং তার পারমাণবিক কেন্দ্রগুলির পরিদর্শনের বিনিময়ে ইরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটিকে “সর্বকালের সবচেয়ে খারাপ চুক্তি” হিসাবে অভিহিত করেছেন এবং আমেরিকাকে এই চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। এখন বাইডেন আমেরিকাকে কোনও এক রূপে চুক্তিতে ফিরিয়ে নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে কাতার এবং সৌদি আরব-আমিরাতের-বাহরাইনের মধ্যে বিরোধ থাকার কারণে কাতারের বিরুদ্ধে যেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, তা ট্রাম্প প্রথম দিকে সমর্থন করলেও পরে সরে এসেছেন। তবে এটিকে সমাধানের জন্য ট্রাম্প কোন শক্ত পদক্ষেপ নেননি। বাইডেন ের সময় এই বিরোধের নিস্পত্তি হতে পারে বলে ধারণা করছে বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে, গালফ আরব রাজ্যগুলোর বেশিরভাগের মানবাধিকার রেকর্ড বেশ খারাপ। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কখনই এই বিষয়ে তার আরব মিত্রদের চাপ দেওয়ার বিষয়ে তেমন আগ্রহ দেখাননি।

তার যুক্তি অনুযায়ী মার্কিন স্ট্রাটেজিক স্বার্থ এবং ব্যবসায়িক কারবারের দিকে নজর দেওয়াতে মানবাধিকার বিষয়ে ছাড় দেওয়া হয় – হোক সেটা কারারুদ্ধ মহিলাদের অধিকার সম্পর্কে উদ্বেগ; কাতারে বিদেশী শ্রমিকদের নির্যাতনের অভিযোগ; বা সৌদি কর্মকর্তাদের দ্বারা ২০১৮ সালের খাশোগি হত্যা।

ধারণা করা হচ্ছে যে বাইডেন এ বিষয়গুলি নিয়ে আরও শক্ত অবস্থান নিবেন।

সূত্র – বিবিসি

Advertisements