বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নরসহ
Advertisements

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানসহ ২৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম জানান, সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ আদালতে এই আবেদন দাখিল করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনের পক্ষে রায় দেন।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিরা:

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর-২ আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, সাবেক সহকারী পরিচালক ইসমত আরা বেগম, সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দীপু, ড. আর এম দেবনাথ, মো. আবু নাসের, সঙ্গীতা আহমেদ ও অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র নাথ।

এ ছাড়া জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আব্দুছ ছালাম আজাদ, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক আজমুল হক, সাবেক এজিএম অজয় কুমার ঘোষ, জনতা ভবন করপোরেট শাখার সাবেক ম্যানেজার মো. গোলাম আজম, ব্যাংকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, এসইও মো. এমদাদুল হক, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল জব্বার, সাবেক ডিএমডি মো. গোলাম ফারুক, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক, এননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল, মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন ও পরিচালক মো. আবু তালহা রয়েছেন।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ:

দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। গোপন সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাদের বিদেশ গমনের সুযোগ থাকলে তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ২৩ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।

এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে ব্যাংকে বন্ধক রাখা জমির মূল্যায়ন জালিয়াতি করেন। ব্যাংকে বন্ধক রাখা জমিতে কোনো ভবন, কারখানা বা স্থাপনা না থাকা সত্ত্বেও সেখানে স্থাপনা দেখিয়ে মিথ্যা মূল্যায়ন করা হয়।

এভাবে স্থাপনাবিহীন তিন কোটি চার লাখ ৯৬ হাজার টাকার জমিকে ১৬ হাজার ৪৮২.৫০ লাখ টাকা অতিমূল্যায়ন করা হয় এবং এর ভিত্তিতে ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করা হয়। এর মাধ্যমে জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখা থেকে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

Advertisements