বহু দেশ নিন্দা - বহু দেশ নিন্দা করলেও মৈত্রী, ঘরে শান্তির লক্ষ্যে নূপুর-মন্তব্য নিয়ে এখনও চুপ ঢাকা - সত্য ও নিরপেক্ষ সংবাদ
Advertisements

বিজেপি মুখপাত্রদের পয়গম্বর সংক্রান্ত নিন্দনীয় মন্তব্যের জেরে পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এবং ইসলামি সংগঠনের তীব্র রোষের মুখে মোদী সরকার। কিন্ত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলির এই রোষানলের তালিকায় এখনও পর্যন্ত ব্যতিক্রম প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ।

এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি বিবৃতি নেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় থেকে। তবে ভারতের এই ঘটনাকে সামনে নিয়ে এসে বাংলাদেশের মুসলিম সমাজ এমনকি, সংখ্যালঘুরাও দাবি করছেন, ধর্মীয় সহিষ্ণুতার প্রশ্নে পশ্চিমি দুনিয়া তাদের যতই সমালোচনা করুক না কেন, হাসিনা সরকারের জমানায় পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে ভারতের চেয়ে অনেকটাই ভাল।

সরকারিভাবে নূপুরের মন্তব্যের নিন্দা করে বিবৃতি না দেয়া হলেও আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটি কিছু দিন পর একটি বিবৃতি দিতে পারে।

কলকাতার প্রতিষ্ঠিত দৈনিক আনন্দবাজার অনলাইন এ খবর দিয়েছে। ৯ই জুন ভোর ৬ টা ৬ মিনিটে প্রচারিত রিপোর্টে অগ্নি রায় লিখেন- আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর গভর্নর খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী গত রাতে ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন। তার কথায়, ভারতে ওই ঘৃণাসূচক মন্তব্যের ১০ দিন পরও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী মুখ খোলেননি। যখন পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি রোষ প্রকাশ শুরু করল, তখন ব্যবস্থা নেয়া হল। কারণ, তাদের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য সম্পর্কে আঁচ পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অথচ এখানে সংখ্যালঘুদের উপর সাম্প্রতিক অতীতে যা নিপীড়নের খবর এসেছে, হাসিনা সরকার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ করেছে। দোষীদের গ্রেপ্তার করেছে।

এমন বিষয় ফেলে রাখলেই তুষের আগুনের মতো ছড়াতে থাকে।

সূত্রের খবর, সরকারিভাবে এই ঘটনার নিন্দা করে বিবৃতি না দেয়া হলেও আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটি কিছু দিন পর একটি বিবৃতি দিতে পারে। তবে খন্দকার জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উপর আপাতত নজর রাখা হচ্ছে।

স্বাভাবিকভাবেই গত বছর দুর্গাপুজোর সময় কুমিল্লায় অশান্তির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে আলোচনায়। গোলাম খন্দকারের কথায়, কুমিল্লায়, রংপুরের পীরগঞ্জে এই ধরনের খবর আসার এক দিনের মধ্যেই নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবস্থা নিয়েছে। যারা গোলমাল পাকিয়েছিল, এমন জনা কুড়ি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দু’জন গুলি চালাচালির মধ্যে পড়ে মারা গিয়েছে।

খন্দকার বলেন, ভারত সিএএ, এনআরসি আনার পরে এ দেশে তার কিছু প্রভাব পড়ে। কিন্তু শেখ হাসিনা ‘লৌহমুষ্টি’তে তার মোকাবিলা করেছিলেন।

সূত্রঃ আনন্দবাজার

Advertisements