জানুয়ারির প্রথম দফা শৈত্যপ্রবাহ শেষে দেশের তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছিল। তবে এবার আবারও আসছে হাড় কাঁপানো শীত। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে এবং এটি স্থায়ী হতে পারে এক সপ্তাহ পর্যন্ত। আগামীকাল বুধবার থেকে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে শুরু করবে।
ইতোমধ্যে দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। সেখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক দিনে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি ছিল। মঙ্গলবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দিনের বেলায় শীতের অনুভূতিকে কমিয়ে দিয়েছিল। রাতের তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, আসন্ন শৈত্যপ্রবাহ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। হিমেল বাতাসের প্রবাহ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং কুয়াশার মাত্রাও বাড়ছে। ফলে আগামী কয়েক দিনে শীতের তীব্রতা বাড়বে।
দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, জানুয়ারিতে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার এক থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। এর মধ্যে এক-দুটি শৈত্যপ্রবাহ তীব্র হতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, পশ্চিমা লঘুচাপের নিম্নমুখী অংশ হিমালয়ের কাশ্মীর অঞ্চল থেকে ঠান্ডা বাতাস বয়ে আনছে। এই ঠান্ডা বাতাস ভারতের মধ্য ও উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলো পেরিয়ে বাংলাদেশের দিকে আসছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ হিমেল বাতাস বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে, যার ফলে তীব্র শীত অনুভূত হবে।
আসন্ন শৈত্যপ্রবাহ প্রধানত রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে যশোর, চুয়াডাঙ্গা এবং কুষ্টিয়ার ওপর দিয়ে শীতের দাপট বেশি থাকবে। সিলেট বিভাগেও শীতের তীব্রতা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে।
দেশব্যাপী শৈত্যপ্রবাহের এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের মানুষদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।