ফেনীর ছয় উপজেলায় লাখো মানুষ এখনো পানিবন্দী হয়ে রয়েছেন। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দরা। তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির। শুক্রবার সকালে বিভিন্ন এলাকা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বন্যা কবলিত জেলাগুলো হলো-ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম ও দাগনভূঞা। পানিবন্দী বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে নিতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম—এ তিন উপজেলা পুরোটাই বন্যাকবলিত। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। দেখা দিয়েছে তীব্র সংকট।
অন্যদিকে ফেনী সদর ও দাগনভূঞা উপজেলার ৮০ শতাংশ এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সোনাগাজী উপজেলার সব ইউনিয়নে বন্যার পানি ঢুকেছে। প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ দুর্ভোগে আছেন।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় এক লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দী অবস্থায় আছেন। বন্যাকবলিত প্রায় সব এলাকায় বিদ্যুৎ নেই।
বেশির ভাগ মোবাইল টাওয়ার অকেজো হয়ে পড়েছে। এতে জেলার বাইরে থেকে তাদের আত্মীয় ও পরিবারের লোকজন বন্যাকবলিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, ফেনীতে অন্তত এক লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দী। সকাল ১০টা থেকে দুটি টিম ইতিমধ্যে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে।
দেশের ১২ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। পানিবন্দী ও ক্ষতির মুখে পড়েছেন ৩৬ লাখ মানুষ। পানিতে ডুবে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গত দুই দিনে চার জেলায় আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।