হামাস হাজার হাজার নয়া রকেট উত্পাদন শুরু করেছে
Advertisements

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ইসরাইল বিরোধী চলমান ‘আল-আকসা তুফান’ অভিযানে কিছু ইসরাইলি সেনা সদস্য গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে বলে একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।ইরানের তাসনিম বার্তা সংস্থার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেছেন ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা।

চরম নিরাপত্তা ব্যবস্থা-বেষ্টিত ইসরাইলে কীভাবে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা এত বড় একটি অভিযান চালাতে সক্ষম হলো তা নিয়ে যখন তেল আবিবের ঘোর কাটছে না তখন এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হলো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা তাসনিমকে বলেন, সুনির্দিষ্ট কিছু ইসরাইলি সেনা সদস্যের সঙ্গে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর বহুদিন ধরে সম্পর্ক রয়েছে। ওই সম্পর্কের জের ধরে ইসরাইলের বহু গোপন ও স্পর্শকাতর তথ্য পেয়ে যাচ্ছিলেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।

তিনি বলেন, “আল-আকসা তুফান অভিযানের শুরুতে ইসরাইলি এলাকাগুলোতে অনুপ্রবেশ করতে বিশেষ করে ইসরাইলি সেনা ঘাঁটিগুলোতে সহজে ঢুকে পড়তে ওই সব তথ্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।”

ওই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, ইসরাইলি সেনাদের সহযোগিতা শুধুমাত্র গোয়েন্দা তথ্যের মধ্যে সীমিত ছিল না বরং ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে তাদের অস্ত্রসস্ত্রের একটি বড় অংশ সংগ্রহ করে আসছিল।

ইসরাইলের হিব্রু ভাষার বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে বিশেষ করে রিজার্ভ সেনাদের মধ্যে মাদকাসক্তির পরিমাণ বেড়ে গেছে। এ কারণে এসব সেনা মাদক কেনার টাকা সংগ্রহ করতে বা সরাসরি মাদকের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের কাছে তাদের অস্ত্রসস্ত্র বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি ইসরাইলি সেনা কমান্ডারদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ইসরাইলের ১৩ নম্বর টিভি চ্যানেল খবর দিয়েছিল, এই অবৈধ রাষ্ট্রের আলেক্সান্দ্রনি ব্রিগেডের একটি ঘাঁটি থেকে এম১৬ রাইফেলের এক লাখ গুলি চুরি হয়ে গেছে। পরে ইসরাইলি পুলিশ জানায় চুরি যাওয়া গুলির সংখ্যা ছিল দেড় লাখ।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে একথাও জানা গেছে যে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এমন কিছু সমরাস্ত্র ব্যবহার করেছে যা ইসরাইলি সেনাবাহিনী ব্যবহার করে থাকে।

Advertisements