ফিলিপাইনের বিমান বাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে কমপক্ষে ৪৫ জন মারা গেছে এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার (৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় ফিলিপাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় বিমানে কমপক্ষে ৯৬ জন ছিল। সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান কিরিলিটো শবেজানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জাতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, তিনজন বেসামরিক নাগরিকসহ ৪৫ জন নিহত হয়েছে এবং ৪ জন বেসামরিক নাগরিকসহ ৫৩ জন আহত হয়েছে। পাঁচ জন সামরিক কর্মী এখনো নিখোঁজ রয়েছে। খবর আল-জাজিরা।
সামরিক বাহিনীর মতে, বিমানে থাকা তিনজন পাইলট দুর্ঘটনার পর বেঁচে গেলেও গুরুতর আহত হন। এর আগে জেনারেল সিরিলিতো সোবেজানা সাংবাদিকদের বলেন, সি-১৩০-এর জ্বলন্ত ধ্বংসাবশেষ থেকে কমপক্ষে ৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেলফিন লরেনজানা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনীর সি-১৩০ মডেলের পরিবহন প্লেনটি সুলু প্রদেশের জোলো দ্বীপে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। প্লেনটির আরোহীদের বেশির ভাগই সেনা সদস্য ছিলেন।
এর আগে ফিলিপাইনের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল সিরিলিতো সোবেজানা এএফপিকে বলেছিলেন, বিধ্বস্ত হওয়া সামরিক প্লেনে ৯৬ জন আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর সেখান থেকে ৪০ জনকে জীবিত উদ্ধারের কথাও জানিয়েছিলেন জেনারেল সিরিলিতো।
দুর্ঘটনাটিকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে ফিলিপাইনের সামরিক বাহিনীর প্রধান বলেছিলেন, উদ্ধার তৎপরতা চলছে, আরও অনেককে যাতে জীবিত উদ্ধার করা যায়, সে জন্য আমরা প্রার্থনা করছি।
ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে জঙ্গিগোষ্ঠী আবু সাইফ মুক্তিপণের জন্য অপহরণসহ সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করায় সেখানে তাদের দমনে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন রয়েছে।
দুর্ঘটনার শিকার প্লেনের আরোহীদের অনেকে সম্প্রতি সামরিক বাহিনীর প্রাথমিক পর্যায়ের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছিলেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে তাদের দক্ষিণাঞ্চলের দ্বীপে নেওয়া হচ্ছিল।