প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা না হলেও চলতি বছর অনুষ্ঠিত হবে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা। ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে প্রতিটি উপজেলা সদরে বৃত্তি পরীক্ষা হবে। পঞ্চম শ্রেণীর মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। সম্প্রতি আন্তঃ মন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইতোমধ্যে এ পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। জেলার মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশের পরীক্ষা আয়োজনের জন্য কতগুলো কেন্দ্র প্রয়োজন তা জানাতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে এ নির্দেশনা দিয়ে সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একই সাথে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ইমেইলে জেলা ও উপজেলাওয়ারী পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত মোট শিক্ষার্থী, ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ও ইংরেজি ভার্সনের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা এবং মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশ হিসেবে কেন্দ্র সংখ্যা জানাতে বলা হয়েছে।
অধিদফতরের সাধারণ প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে বৃত্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে। মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। শিক্ষার্থীদের তথ্য ও কেন্দ্রের তথ্য পাঠাতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে মেধাবৃত্তি দেয়ার বিকল্প মেধা যাচাই পদ্ধতি নিয়ে আন্তঃ মন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বর্তমান প্রচলিত নিয়ম ও পদ্ধতিতে প্রাথমিক বৃত্তি দেয়া অব্যাহত থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে এ বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা প্রতিটি উপজেলা সদরে অনুষ্ঠিত হবে।
