ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই প্রজাতন্ত্র দোনেৎস্ক ও লুগানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার পর ওই দুই অঞ্চলে রুশ সেনা পাঠানোর নির্দেশে সই করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি অবশ্য বলেছেন, দোনেৎস্ক ও লুগানস্কে শান্তিরক্ষী বাহিনীর কাজ করবে রাশিয়ার সেনারা।
আমেরিকাসহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো যখন অভিযোগ করছে রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে চায় এবং মস্কো যখন এই অভিযোগ অস্বীকার করছে তখন ভিন্ন ধরনের এই নির্দেশ দিলেন পুতিন। তার এ নির্দেশের ফলে পুতিনের মাধ্যমেই সোমবার রাতে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষিত দোনেস্ক ও লুগানস্ক অঞ্চলে ‘শান্তিরক্ষী বাহিনী’ হিসেবে রুশ সেনা প্রবেশ করবে।
ওই দুটি অঞ্চল ২০১৪ সাল থেকে রুশপন্থি অস্ত্রধারীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সেখানকার বেশিরভাগ নাগরিককেই এরইমধ্যে রাশিয়ার পাসপোর্ট দিয়েছে মস্কো। তবে প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের ওই দুই প্রজাতন্ত্রে রুশ সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেয়ার পর রাশিয়ার সেনারা সেখানে প্রবেশ করতে শুরু করেছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
ইউক্রেনের পাশ্চাত্যপন্থি প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, দোনেস্ক ও লুগানস্ক অঞ্চলকে রাশিয়া যে স্বীকৃতিই দিক না কেন ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক সীমান্ত অক্ষুণ্ন থাকবে। তিনি দাবি করেছেন, ২০১৪ সাল থেকেই ওই দুই অঞ্চলে রুশ অস্ত্রধারী বিদ্রোহীদের ছদ্মবেশে রুশ সেনা উপস্থিতি ছিল এবং এবার তাকে বৈধতা দেয়া হলো মাত্র।
এদিকে ওই দুই প্রজাতন্ত্রে শান্তিরক্ষার যে দাবি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট করেছেন তাকে ‘বাজেকথা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তার ওই বক্তব্যের কিছুক্ষণ পর জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাসও রাশিয়ার দাবিকে ‘বাজেকথা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে বলেছেন, “রুশ সেনারা সেখানে কি করছে তা আমাদের জানা আছে।” লিন্ডা অভিযোগ করেন, লুহানস্ক ও দোনেস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করার পেছনে রাশিয়ার মূল উদ্দেশ্য ইউক্রেনের আরো অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করা।
পার্সটুডে