পাপিয়া এবং তার স্বামীর ২৭ বছরের কারাদণ্ড
Advertisements

বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি সহযোগী সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত শামিমা নূর পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে অস্ত্র আইনে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, তাদের বাড়িতে অস্ত্র পাওয়া গেছে এবং এই আইনে সবোর্চ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

কিন্তু তারা দুইজনই একই পরিবারের সদস্য এবং পাপিয়া একজন নারী —-এই দুই বিবেচনায় আদালত দণ্ড কমিয়ে ২০ বছর এবং সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।

মি: আব্দুল্লাহ বলেছেন, এর মধ্যে অস্ত্র আইনের ১৯ এর ‘এ’ ধারায় অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে পাপিয়া ও সুমনকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এবং ১৯ এর ‘এফ’ ধারায় অবৈধভাবে গুলি ও ম্যাগাজিন রাখার দায়ে দেওয়া হয়েছে ৭ বছরের কারাদণ্ড।

এই দম্পতিকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ বাহিনী র‍্যাব গত ২২শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে আটক করে।

কী অভিযোগ পাপিয়ার বিরুদ্ধে

শামিমা নূর পাপিয়া এবং তার কথিত সহযোগীদের আটকের পর আদালতে দেয়া আবেদনে বিমানবন্দর থানা পুলিশ বলেছে, “আসামিগণ সংঘবদ্ধভাবে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, চোরাচালান ব্যবসা, জাল নোটের ব্যবসা, চাঁদাবাজি, তদবির বাণিজ্য, জায়গা জমির দখল বেদখল ও অনৈতিক ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অপরাধলব্ধ অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছে বলে স্বীকার করে।”

সে সময় সংবাদ সম্মেলন করে র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক শাফিউল্লাহ বুলবুল দাবি করেছিলেন যে পাঁচ তারা হোটেলে নারীদের দিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতেন যুব মহিলা লীগের এই বহিষ্কৃত নেত্রী।

তিনি আরও জানিয়েছিলেন যে তারা বেশ কিছু নারীর ভিডিও ক্লিপ পেয়েছেন যেগুলো নারীর জন্য মর্যাদাকর নয়।

শামিমা নূর পাপিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে উদ্ধৃত করে র‍্যাব বলেছিল যে মেয়েদের আপত্তিকর ছবি বিত্তবান ব্যক্তিদের মোবাইল ফোনে পাঠাতেন তিনি (পাপিয়া) এবং এরপর বিত্তবান কেউ আগ্রহী হয়ে এলে তাকে জিম্মি করা হতো।

শামিমা নূর পাপিয়াকে নিয়ে সেসময় নানা খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং এবং আওয়ামী যুব মহিলা লীগ বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে।

বিশেষ করে পাপিয়ার সঙ্গে সরকার এবং ক্ষমতাসীন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং মন্ত্রীদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়ার পর এটি তাদের মধ্যে বিরাট অস্বস্তি তৈরি করে।

সে প্রেক্ষাপটে যুব মহিলা লীগ তখন শামিমা নূর পাপিয়াকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে।

Advertisements