প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
Advertisements

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম জানিয়েছেন, পলাতক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘জুলাই গণহত্যা’ মামলার তদন্ত প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ট্রাইব্যুনালে এক শুনানি শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো ব্যক্তি-কেন্দ্রিক। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং তদন্তে তাদের ‘সুপেরিয়র কমান্ড রেসপন্সিবিলিটি’ তথা ঊর্ধ্বতন পদ থেকে অপরাধে ভূমিকার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় আশুলিয়া, রামপুরা, চানখাঁরপুলসহ বিভিন্ন স্থানের ওপর ভিত্তি করে একাধিক মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে যেগুলোর নৃশংসতা বেশি, সেগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

শেখ হাসিনার মামলার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রসিকিউটর তামীম বলেন, “শেখ হাসিনা সব অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু। তার নির্দেশেই অন্যান্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চূড়ান্ত হলে অন্য সহযোগীদের বিরুদ্ধেও দ্রুত তদন্ত এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।”

তিনি জানান, প্রতিটি মামলার জন্য আলাদা তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে এবং তারা স্বতন্ত্রভাবে তদন্ত পরিচালনা করছেন। যদিও কিছু মামলার অগ্রগতি তুলনামূলক ধীর, তবে কোনো মামলাই বন্ধ হয়নি।

ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে বুধবার মহাখালীতে জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় শহিদ পাঁচজনের মামলার তদন্তে আরও তিন মাস সময় চাওয়া হয়। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২০ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

একইসাথে, মোহাম্মদপুরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এক মামলায় অভিযুক্ত আনসার সদস্য ওমর ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালান। তাকে ২৭ এপ্রিল তদন্ত সংস্থায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এছাড়া, মামলার তদন্তকারীদের বিভিন্ন প্রমাণপত্র (ডকুমেন্ট) জব্দ ও যাচাই করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে সত্যতা যাচাইয়ের আবেদনও আদালত মঞ্জুর করেছেন।

Advertisements