বাংলাদেশে সদ্য প্রণীত নির্বাচন কমিশন আইনকে গণবিরোধী এবং গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত বলে মন্তব্য করেছে গণঅধিকার পরিষদ।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ ভিপি বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মতামতের কোন সুযোগ না রেখে সরকারি দলের পছন্দমতো নির্বাচন কমিশন গঠনের নিমিত্তে এ আইনটি পাস করা হয়েছে। তাছাড়া, নতুন এ আইনে বিগত দুটি বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন গঠনের দায়মুক্তির বিধান রাখা হয়েছে এটা নির্বাচনী সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব আরো বলেন, ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী গণতন্ত্র ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ অনস্বীকার্য। তাই দেশের চলমান রাজনৈতিক ও নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে সংকট নিরসনে গণঅধিকার পরিষদ রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ ও সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় অন্তর্ভুক্তির জন্য সরকারের নিকট দাবি জানায়।
র্যাবের বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ টেনে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞাই শেষ না, সামনে আরও নিষেধাজ্ঞা আসছে। এসব নিষেধাজ্ঞায় শুধু সরকার না, দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ তবে কার বা কোন প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসছে, সে ব্যাপারে কিছু জানাননি তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আরও নিষেধাজ্ঞা আসবে সে ব্যাপারে আপনারা নিশ্চিত থাকুন। এখন শুধু সরকার বিপদে নয়, দেশও বিপদে পড়ছে। এই বিপদ থেকে উত্তরণের জন্য তাদের (সরকার) সব বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। এটা একটা জাতীয় সমস্যা, শুধু আওয়ামী লীগের সমস্যা নয়। আওয়ামী লীগের শাসনের অবসান ঘটবে এটাও সরকার ইশারা-ইঙ্গিতে বুঝেছে এবং এই সরকারের জন্য এত দিন যারা কাজ করেছে, মানুষকে গুম-খুন করেছে, তারা এখন দুশ্চিন্তায় আছে।’
রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘সরকার দেশের মানুষকে বুঝতে দিতে চায় না নিজের দোষ-অন্যায়ে তারা কত বড় বিপদে পড়েছে। কত বড় দুশ্চিন্তায় আছে। আমাদের সামরিক বাহিনীকে বিপদে ফেলে দিয়েছে। পুলিশ বাহিনীকে বিপদে ফেলেছে। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে এটা তারা এখন বুঝতে পারছে। শুধু নিজেরা ডুববে না, দেশকে ডুবিয়ে এই স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতাচ্যুত হবে। এই জিনিসটা সাধারণ মানুষ বুঝে গেছে, ব্যবসায়ীরাও বুঝো গেছেন।’