ঘিয়ের পুষ্টিগুণের কথা কমবেশি সবারই জানা। রান্নার স্বাদ বৃদ্ধিতেও ঘিয়ের জুড়িমেলা ভার। তবে রান্নাঘরের এই উপকরণটি কিন্তু রূপচর্চার ক্ষেত্রেও বেশ কার্যকরী।
চোখের নিচের কালি, বলিরেখা, ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে ঘিয়ের ভূমিকার বিষয়টি প্রমাণিত। প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে ঘি।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক রুপচর্চায় ঘিয়ের ব্যবহার সম্পর্কে-
দুই টেবিল চামচ ঘি, দুই টেবিল চামচ বেসন, এক টেবিল চামচ দুধ মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি সারা মুখ এবং গলায় লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার এই ফেস মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন। এই ফেসপ্যাক ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ত্বকের তৈলাক্ত ভাব ও ব্রণ কমায়।
ত্বকে বয়সের ছাপ এবং কুঁচকে যাওয়া নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। এক্ষেত্রেও ভরসা রাখতে পারেন ঘিয়ের ওপর। ঘি আর নারকেল তেল বা বাদাম তেল সমপরিমাণে নিয়ে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। প্রতি রাতে ঘি দিয়ে তৈরি এই ক্রিমটি ব্যবহার করলে অল্প দিনেই ফলাফল পেতে শুরু করবেন।
এক টেবিল চামচ ঘি ও এক টেবিল চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট রাখার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে একবার এই প্যাকটি লাগাতে পারেন। মধুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য ত্বকের বলিরেখা কমাতে দারুণ কাজ করে। মধু এবং ঘিয়ের ফেস মাস্ক ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
চোখের নিচের কালি তোলার জন্য জন্য দুই থেকে তিন ফোঁটা ঘি আঙুলে নিয়ে আলতভাবে চোখের নিচে মালিশ করুন। এভাবে সারা রাত রেখে দিন। সকালে ঠান্ডা পানি চোখ ধুয়ে ফেলুন। ঘি ব্যবহারে চোখের নিচের অংশ নরম ও আর্দ্র হয়। চোখের নিচের কালিও দূর হয়।
সারাবছর ধরেই ঠোঁট ফাটার সমস্যায় ভোগেন? সেক্ষেত্রেও ঘি দিয়েই হতে পারে সমাধান। রাতে ঘুমোনোর আগে ঘিয়ের মধ্যে চিনি মিশিয়ে একটি লিপ স্ক্রাব বানিয়ে নিয়ে ঠোঁটে ঘষে নিন। নিয়ম করে এই স্ক্রাব ব্যবহার করলে কিন্তু কয়েক দিনেই ফল পাবেন।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা